২০১৫ সালের তুলনায় বর্তমানে বিশ্বে ক্ষুধা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে বিশ্বে মাঝারি থেকে তীব্র ক্ষুধার্ত ৭৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ রয়েছে। ক্ষুধার্ত মানুষের এই সংখ্যায় প্রতীয়মান হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা দূর করার জাতিসংঘের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য পূরণের প্রচেষ্টায় বিশ্ব অনেক দূরে রয়েছে। জাতিসংঘ শুক্রবার একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অথচ টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমায় বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সম্পর্কিত বেশিরভাগ লক্ষ্যে সামান্য উন্নতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারীর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সশস্ত্র সংঘর্ষের মতো অন্যান্য সংকটের সাথে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। গত দুই দশকে যে অগ্রগতি হয়েছে তা স্থবির হয়ে পড়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে বিপরীতও হয়েছে।’
বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২০২০ সালে তীব্রভাবে বেড়েছে। কারণ মহামারী খাদ্য বাজারকে ব্যাহত করেছে এবং বেকারত্ব বাড়িয়েছে। কিন্তু ক্ষুধা প্রাকমহামারী স্তরে ফিরে আসেনি। বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ- ২৪০ কোটি মানুষ ২০২২ সালে মাঝারি বা মারাত্মকভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীন ছিল। ২০১৫ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ছিল ১৭৫ কোটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের দক্ষিণে অপুষ্টি পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। আফ্রিকার সাব-সাহারায় ক্ষুধা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। খাদ্যের অপচয় অর্ধেক করার লক্ষ্যের দিকেও বিশ্বে কোনো উন্নতি দেখা যায়নি, যা ২০১৬ সাল থেকে প্রায় ১৩ শতাংশ রয়ে গেছে। দেশগুলোর উচিত খাদ্যের ক্ষতি কমাতে নীতি তৈরি করা।