বিশ্বে অপারেশনাল পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা বেড়েছে। মূলত রাশিয়া ও চীনের কারণে এই ওয়ারহেডের সংখ্যা বেড়েছে। বুধবার প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা নরওয়েজিয়ান পিপলস এইড প্রকাশিত পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ পর্যবেক্ষণ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯টি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের কাছে ২০২৩ সালে ব্যবহার করা যাবে এমন ৯ হজাার ৫৭৬টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। এর আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৪৪০।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অস্ত্রগুলোর ‘সম্মিলিত ধ্বংসাত্মক শক্তি’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমায় আঘাত হানা এক লাখ ৩৫ হাজার আণবিক বোমার সমান।
ইউক্রেনে আক্রমণ এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশটিতে পশ্চিমা সামরিক সহায়তার বিরুদ্ধে মস্কো বারবার পারমাণবিক হুমকি দেওয়ায় এই পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে।
গত শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দোরগোড়ায় থাকা দেশ বেলারুশে ‘কৌশলগত’ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে মিনস্কের সাথে সম্মত হয়েছেন।
রাশিয়ার কাছে এই মুহূর্তে ব্যবহার করা সম্ভব এমন পাঁচ হাজার ৮৮৯টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওয়ারহেড রাশিয়ার কাছেই রয়েছে। রাশিয়া ছাড়াও চীন, ভারত, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তানের কাছে কার্যক্ষম পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।
পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ পর্যবেক্ষকের সম্পাদক গ্রেথ লাউগলো অস্টার্ন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই বৃদ্ধি উদ্বেগজনক, ২০১৭ সাল থেকে বৃদ্ধির এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নতুন ওয়ারহেড বাড়ানোর প্রবণতা বন্ধ না হলে, ‘শিগগিরই বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যাও শীতল যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো আবারও বৃদ্ধি পাবে।’