মুদ্রাস্ফীতি চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে সরে আসায় বিশ্ব অর্থনীতিতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দাভোসে বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের সমাপনী অধিবেশনে ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এ কথা বলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও অতিরিক্ত আশা করার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন তিনি।
আইএমএফ প্রধান বলেছেন, ‘আমার বার্তা হচ্ছে, কয়েক মাস আগে আমরা যে ভয় পেয়েছিলাম তার চেয়ে এখন পরিস্থিতি কম খারাপ। কিন্তু এর মানে এটা নয় যে, পরিস্থিতি ভাল। উন্নতি যা হয়েছে তা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি সঠিক দিকে ঝুঁকছে বলে মনে হচ্ছে – অর্থাৎ নিম্নমুখী।’
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোজোন এবং যুক্তরাজ্যে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার নিম্মমুখী হওয়া শুরু করেছে। শূন্য-কোভিড নীতি পরিত্যাগ করার পর থেকে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এই সময়ে শক্তিশালী শ্রম বাজার ভোক্তাদের ব্যয় বাড়িয়েছে।পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আইএমএফ জানিয়েছে, তারা চলতি মাসের শেষে বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য হালনাগাদ পূর্বাভাস প্রকাশ করবে । ২০২৩ সালের জন্য সংস্থাটি ২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, ছোট করে তার একটি হালনাগাদ পূর্বাভাস দেওয়া হবে।
জর্জিয়েভা বলেছেন, ‘অত্যধিক হতাশাবাদী থেকে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার দিকে যাবেন না।’
সাবেক মার্কিন অর্থমন্ত্রী ল্যারি সামারস বলেছেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক হবে যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্য স্থিতিশীলতা অর্জনের ওপর মনোযোগ দেওয়া থেকে ‘দূরে’ চলে যায় এবং একই যুদ্ধে দুবার লড়াই করতে হয়।
তিনি বলেছেন, ‘যদি মুদ্রাস্ফীতিকে আবার বাড়তে দেওয়া হয়, তবে এটি শুধুমাত্র মূল্য স্থিতিশীলতা এবং নিম্ন-আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মানকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না, বরং ঘূর্ণায়মান স্থিতিশীলতার জন্য যথেষ্ট ঝুঁকি তৈরি করবে।’