পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতনি ফাতিমা ভুট্টো বিয়ে করেছেন। শনিবার (২৯ এপ্রিল) করাচিতে পারিবারিক বাসভবনে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, ফাতিমা ভুট্টোর স্বামীর নাম গ্রাহাম। তবে তার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ফাতিমা ভুট্টোর আরেক পরিচয়, তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ভাতিজি। ফাতিমার বাবার নাম মুর্তজা ভুট্টো।
ফাতিমার ভাই জুলফিকার আলি ভুট্টো জুনিয়র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নবদম্পতির একটি ছবি পোস্ট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, আমাদের বাবা শহীদ মীর মুর্তজা ভুট্টো এবং ভুট্টো পরিবারের পক্ষ থেকে এই খুশির খবর শেয়ার করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। গতকাল আমাদের করাচির বাড়িতে আমার বোন ফাতিমা ও গ্রামের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি সবাইকে নবদম্পতির জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে শুধু পরিবারের লোকজন ও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। বর-কনে এখনো তাদের বিয়ের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেননি।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে ভুট্টো পরিবারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এই পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টিতে ভুট্টো পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ১৯৭৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জুলফিকার আলী ভুট্টোকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
ফাতিমা ভুট্টোর জন্ম ১৯৮২ সালের ২৯ মে। তিনি ‘সং অব ব্লাড অ্যান্ড সোর্ড’ নামে স্মৃতিকথাসহ বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। সেসব বইয়ে ভুট্টো পরিবারের অশান্ত রাজনৈতিক ইতিহাসের গল্প রয়েছে। তিনি ‘দ্য শ্যাডো অব দ্য ক্রিসেন্ট মুন’ নামের একটি উপন্যাস লিখেও সাড়া ফেলেছেন।
বই লেখা ছাড়াও ফাতিমা ভুট্টো দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখছেন।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, পাকিস্তান অবজারভার