আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। রাত পেরুলেই বিজয়ের কেতন উড়িয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অকুতোভয় বীরদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে জাতি। বিজয়ের ৪৮তম দিবসটি পালনে মাঠ পর্যায়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত গণপূর্ত বিভাগ।
জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে ইতোমধ্যে সশস্ত্র তিন বাহিনীর চৌকস দল তাদের কুচকাওয়াজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন। বিজয়ের এক প্রহর আগেই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ যেন হয়ে উঠেছে সবুজ বাংলার একখণ্ড ভূমি। যেখানে লাল টকটকে ফুল জানান দিচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রাম আর বিজয়ের গল্পকথা।
এক মাস ধরে পরিচ্ছন্ন-কর্মীদের ধোয়ামোছার পর রং তুলির আঁচড়ে সাজানো হয়েছে পুরো সৌধ চত্বরের সড়ক ও বেদি।
এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলেন, এখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। এবং গাছের যে মরা পাতাগুলো পড়ে আছে, তার আমরা এখানে থেকে সরিয়ে নিচ্ছি।
একজন বলেন, আমি এখানে রঙ তুলির কাজ করছি, যাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সুন্দর দেখায়।
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন্নবী বলেন, আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তর জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণকে ঢেলে সাজিয়েছি। ফুলে ফুলে সুশোভিত করণ করেছি।
সাভার গণপূর্ত বিভাগ সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, এখানে আমরা সিটি ক্যামেরা মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। যেনো কোন অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে।
এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এলাকায় ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, যতো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া দরকার এখানে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মাঠে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাড়কের পাশে সাভারের নবীনগরে এই স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে ১০৮ একর জায়গা নিয়ে লেক তৈরি ও গাছ লাগিয়ে সবুজ বলয়ের মাঝে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ ও দশটি গণ সমাধিসহ বেশ কিছু স্থাপনা।