করোনা টিকার দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে জোর দিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। শুরুতে ষাটোর্ধ জনগোষ্ঠী এবং দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজ দেওয়ার ছয় মাস সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও পরে দুই দফায় বয়স ও সময় কমানো হয়েছে।
এখন ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর যাদের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর চার মাস পার হয়েছে, তারা সবাই এসএমএস না পেলেও বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে দেশে এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৮৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৫২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে টিকা কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ দিয়েছেন ১২ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৬০ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ১০ কোটি ৭৭ লাখ ১২ হাজার ৭৩৭ জন মানুষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৭৬ হাজার ৫৩৭ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৫ লাখ ৮২ হাজার ২৫৯ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন চার লাখ ২৪ হাজার ৯৪১ জনকে।
এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
অপরদিকে, ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭২ লাখ ৪৯ হাজার ৩২০ জন শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ৮১৪ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ১৪ হাজার ৪২০ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৩৯৬ জন।
এদিকে, দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭ হাজার ১৬ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় আনা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তাদেরকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এসব জনগোষ্ঠীকে দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজ দিতে হবে না।