পেশায় তিনি পাইলট। তবে বিমানের ককপিটে বসার আগে আন্তুম আমির নাকভি নেমেছেন বাইশগজের সবুজ গালিচায়। তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠাও ভিন্ন ভিন্ন দেশে। বেলজিয়ামে জন্ম নেওয়া নাকভি বেড়ে উঠছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ক্রিকেট ও পড়াশোনা সেখানেই। এখন মনোযোগ জিম্বাবুয়ের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে। এরই মধ্যে হইচই ফেলে দিয়েছেন এই তরুণ। গড়ে ফেলছেন এক অনন্য কীর্তি।
জিম্বাবুয়ের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট লোগান কাপের ম্যাচে অপরাজিত ট্রিপল সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়েছেন নাকভি। যা কিনা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তো বটেই, জিম্বাবুয়ের কোনো দলের হয়ে যে কোনো ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথম ত্রিশতক।
হারারাতে মাটাবেলেল্যান্ড টাস্কার্সের বিপক্ষে মিড ওয়েস্ট রাইনোজের হয়ে এই ইনিংসটি খেলেন নাকভি। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে দল ৮৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে যান তিনি। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শতরান পূরণ করেন ৯৯ বলে। সেখান থেকে দুইশ স্পর্শ করেন ২২১ বলে। ২৯৫ বলে স্পর্শ করেন ত্রিশতক। ৩০ চার ও ১০ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান নাকভি।
নাকভি দ্বিতীয় প্রবাসী ক্রিকেটার যিনি জিম্বাবুয়ের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন। এর আগে ১৯৩২ সালে পানামায় জন্ম নেওয়া জর্জ হেডলি জ্যামাইকার হয়ে অপরাজিত ৩৪৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এর আগে জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছিল ২৭৯। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার কুরি কাপে অপরাজিত ইনিংসটি খেলেছেন রে গ্রিপার।
অবশ্য জিম্বাবুয়েতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড অল্পের জন্য ছুঁতে পারেননি নাকভি। সেটা নিজের দোষেই। হয়তো তার জানা ছিলো না রেকর্ডের কথা। তাই অধিনায়ক হওয়ায় ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। ২০০০-০১ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে ৩০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের মার্ক রিচার্ডসন।
সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরিতে নাকভির রান এখন ৭১৫। উইকেট আছে ২০টি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও তার শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। ৮ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটি করে ফেলেছেন। ব্যাটিং গড় ৭৩.৪২, স্ট্রাইক রেট ১১০.৭৭। উইকেট নিয়েছেন ৯টি।