ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নৌ বহরের সদর দপ্তরে হামলার জন্য ব্রিটিশ ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে সেভাস্টোপল শিপ ইয়ার্ডে এই হামলায় রাশিয়ার একটি সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রুশ নৌ ঘাটির ওপর ইউক্রেনীয় বাহিনীর এটি সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেন এবং একটি পশ্চিমা সূত্র জানিয়েছে, এই হামলায় ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্টোপল শিপইয়ার্ডে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে ইউক্রেন ১০টি মিসাইল ও মানবহীন তিনটি স্পিডবোট দিয়ে হামলা চালায়। এতে শিপইয়ার্ডে আগুন ধরে যায় এবং সাবমেরিন ও জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউক্রেনের নিক্ষেপ করা ১০ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে সাতটি রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং তিনটি বোট একটি টহল জাহাজ ধ্বংস করে দিয়েছে।
হামলার পর ইউক্রেনের বিমান বাহিনীল প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেশুক জ্বলন্ত শিপইয়ার্ডের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘সেভাস্টোপলে দখলদাররা যখন খারাপ সময় পার করছে; আসুন ইউক্রেনের বিমান বাহিনীকে তাদের দুর্দান্ত কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল সরবরাহ করে যুক্তরাজ্য। এসব মিসাইল ১৫০ মাইলের বেশি দূরত্বে বিমানের মাধ্যমে নিক্ষেপ করা যায়। এছাড়া ফ্রান্সও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে ক্রুজ মিসাইল সরবরাহ করেছে।