কাকলী প্রধান
বুড়িগঙ্গার দুই তীর থেকে গুলশান বনানী বারিধারা বসুন্ধরা ছাড়িয়ে পূর্বাচল। রাজধানীর এই বেড়ে ওঠা পরিকল্পিত কোন নীতিমালা অনুসরন করে নয়। নিয়ম-নীতিহীন বাস ভবন যথেচ্ছ শিল্প কলকারখানা নির্মাণের ফলে ঢাকা হারিয়েছে পরিবেশের ভারসাম্য। যে নদীগুলো দ্বারা ঢাকা পরিবেষ্টিত ছিল সেগুলো আজ দুষণ আর দখলের শিকার। অনেকাংশে নদীর চিহ্নও অনেক জায়গায় হারিয়ে গেছে। নদী দখল, গ্রাস এবং ভরাঁ করে আবাসন নির্মাণের প্রবণতা কিছু মুষ্টিমেয় মানুষের বা ব্যবসায়ীর ছিলই। সংশি]ষ্ট কর্মকর্তা এবং উচ্চ মহলের লোকজন এক অলিখিত কারণে একেবারেই চুপচাপ থেকেছে বরাবর।
নদী এবং সভ্যতার সম্পর্ক হৃদয়ের। অথচ বাংলাদেশ অকচ্ছত্র জন্মগত এই অধিকার অর্জন করা সত্বেও রাষ্ট্র এবং সমাজের উদাসীনতার কারণে নদীগুলো আজ মৃত্যু শয্যায়। প্রকৃতির সঙ্গে এই সম্পর্কহীনতার পরিণাম সভ্যতার আত্মহত্যা। এটা কি তবে বুড়িগঙ্গার আত্মহত্যা নাকি হত্যা ?