কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো মারিয়া মান্ডার দল।
৮০তম মিনিটে এই আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা শাহেদা আক্তার রিপার ব্যাকহিলে বক্সের বেশ দূর থেকে উঁচু শট নেন আনুচিং মোগিনি। ভারতের গোলকিপার আনশিকা তা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি হাত দিয়ে বল ঠেললেও দুর্ভাগ্যবশত জালে জড়ায়।
রাউন্ড রবিন লিগ পর্বে আগের দেখায় ভারতকে ১-০ গোলেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। পরে ভুটানকে ৬-০ ও শ্রীলঙ্কাকে ১২-০ গোলে হারায় স্বাগতিকরা।
শ্রীলঙ্কাকে আগের ম্যাচে গুঁড়িয়ে দেওয়া বাংলাদেশ দল চারটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। সোহাগী কিসকু, স্বপ্না রানী, মোগিনি ও আফাইদাকে বেঞ্চে রেখে নেওয়া হয় মনিকা চাকমা, তহুরা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা ও নিলুফার ইয়াসমিনকে। ১৫ মিনিটেই গোল পেয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। মারিয়ার লম্বা শট ভারতের গোলকিপার আনশিকা ঠেকালেও বল ধরে রাখতে পারেননি। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে লক্ষ্যে শট নেন তহুরা। দুর্বল শটটি ছুটে গিয়ে গোললাইন থেকে বিপদমুক্ত করেন নির্মলা দেবী। বল লুফে নেন আনশিকা। মারিয়ারা গোলের জোর দাবি করলেও নেপালি রেফারি অঞ্জনা রয় সাড়া দেননি।
গোলের আরেকবার সুযোগ তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের। ২৫ মিনিটে থ্রো ইনে সতীর্থের ফিরতি পাসে শট নিয়েছিলেন মোগিনি। বল আনশিকাকে ফাঁকি দিলেও দূরের পোস্টে আঘাত করে। গোলশূন্য স্কোরে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে শামসুন্নাহার জুনিয়র তিনটি সুযোগ নষ্ট করেন। সবচেয়ে হতাশার মুহূর্ত আসে ৪৬ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া তার জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে। পরে এই উইঙ্গারের দুটি প্রচেষ্টা ক্রসবারের উপর দিয়ে গিয়ে হতাশ করে।
অগণিত সুযোগ নষ্টের পর মারিয়াদের উদযাপনের ক্ষণ আসে। ৭৯ মিনিটে গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। আর তাতেই দক্ষিণ এশিয়ায় বয়সভিত্তিক ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
তিন বছর আগে ভুটানে প্রথমবার মেয়েদের বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে নেপালকে ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের পর এই বছর টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হলো বয়স এক বছর বাড়িয়ে। আর সেখানেও লাল-সবুজের দাপট। গোলাম রাব্বানী ছোটনের দল প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হলো ভারতকে হারিয়ে।