জান্তাবিরোধী যোদ্ধারা ভারতের সাথে মিয়ানমারের সীমান্তের কিছু অংশ দখলের চেষ্টা করছে। জান্তাবিরোধী যোদ্ধাদের একজন কমান্ডার এ তথ্য জানিয়েছেন।
চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (সিএনএফ) ভাইস চেয়ারম্যান সুই খার জানিয়েছেন, মিজোরামের পাশের দুটি শিবির দখল করতে কয়েক ডজন বিদ্রোহী সোমবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই করেছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্ররা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
মিয়ানমারের জেনারেলরা ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছেন। দেশটির তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী অক্টোবরের শেষের দিকে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। ইতিমধ্যে তারা কয়েকটি শহর ও সামরিক পোস্ট দখল করেছে।
সামরিক সরকারের প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, বিদ্রোহ মোকাবিলায় অকার্যকর প্রতিক্রিয়ার কারণে মিয়ানমার ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
অক্টোবরে আক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিদ্রোহীরা এই অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন ১০২৭।’ তারা প্রাথমিকভাবে শান রাজ্যে চীনের সীমান্তে জান্তা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করে। তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে সামরিক কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি শহর এবং শতাধিক নিরাপত্তা চৌকির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
অভিযানে সহযোগী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির মুখপাত্র কিয়াও নাইং বলেছেন, ‘আমরা উত্তর শান রাজ্যে আমাদের হামলা চালিয়ে যাচ্ছি।’
পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন এবং চিন রাজ্যে চলতি সপ্তাহে দুটি নতুন ফ্রন্টে লড়াই শুরু হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ মিজোরামে পালিয়ে গেছে।
প্রায় ৮০ জন বিদ্রোহী যোদ্ধা সোমবার ভোর ৪টার দিকে চিনের রিহখাওদার ও খাওমাউই সামরিক ক্যাম্পে হামলা চালায়। কয়েক ঘন্টার লড়াইয়ের পর উভয় চৌকির নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা। মিয়ানমারের পরাজিত সেনাদের মধ্যে ৪৩ জন ভারতে পাড়ি দেয় এবং মিজোরামে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা লালমালসাওমা হ্নামতে জানিয়েছেন।