প্রিয় শুভ্র,
কিভাবে যেন দিন গড়িয়ে যাচ্ছে। তোমাকে আগের মতো লেখার টান অনুভব করছি না। এটা কী আমার ব্যস্ততা? নাকি তোমার অবহেলা! ধীরেধীরে ভালোবাসা হারিয়ে যাচ্ছে, আর আমিও হারাচ্ছি দূর থেকে দূরে! ভালোবাসার সংজ্ঞা আমার জানা নেই, তবে এটুকু বুঝি– ভালোবাসা হৃদয়ে লালন করতে হয়, দুদিনে ভালোবাসা হয় না। এটা চলমান, থেকে যায় লুকোনো, দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না, অনুভবে হারানো হলে সেই হলো নির্মল ভালোবাসা।
ভালোবাসার গান, কবিতা, উপন্যাস লিখে রেখে গেছেন কবি-সাহিত্যিক। জন্ম হয়েছে প্রেমিক প্রেমিকা, নতুন সকাল, নতুন ভোর, নতুন গান। কবি লিখেছেন “তোমার আমার এই যে প্রণয় নিতান্ত এই সোজাসুজি”। কিন্তু কোথায় সেই সহজিয়া ভালোবাসার প্রদীপ?
মনের ভেতরে কিছু পাথর জমে আছে, আমি যখন সবুজের আল ধরে হাঁটি, সরিষাহলুদ ফুলে, কৃষ্ণচূড়ার লালে, শিমুল পলাশের ভিড়ে তোমাকেই পাই। তুমি আমাকে পাও কিনা আমি জানি না; তবে আমি পাই তোমাকে প্রতিটি আখ্যানে। আমার যে কতকিছু করার দুর্দমনীয় ইচ্ছে জানো তো? কিছু একটা করবো, যার অনুভব-ব্যপ্তিকাল হবে দুইশত বছর। যার ভেতরে আমি, আমরা বেঁচে থাকবো, বেঁচে থাকবে আমাদের মানবিকতার কথা।
শুভ্র, জানো তো অভিমান আমারও হয়। শুধু নিজের কথা ভাবলে হয় বলো? আমি ভাবছি, খুব ভাবছি। আমি কি খুব রিরক্ত করছি তোমায়! কত কথা বললে তুমি, আমি খুব ভালো শ্রোতা জানো তো, শুনলাম আর নিজেকেই অপরাধী ভেবে চুপ করে থাকলাম। কিছু বললাম না। আমি হাজার বললেও যে, তুমি বিশ্বাস করবে না। বিশ্বাসের জায়গা যে অন্য তারায় হাঁটছে। বিশ্বাসের কথা কেনো লিখলাম জানো? বিশ্বাস ছাড়া ভালোবাসা হয় না। বিশ্বাসের উপরেই ভালোবাসা দাঁড়িয়ে থাকে অনন্তকাল!
আমার কাছে ভালোবাসা হলো– একনদীতে দুটিমনের অনবদ্য সাঁতার! ভালোবাসা প্রকৃতিপ্রেম। ভালোবাসায় কোনো দেয়াল থাকতে নেই। ভালোবাসার টান সর্বগ্রাসী ঝড়ের মতো।
আমার আপনজগতে আমি ভালো আছি খুব, যাদের জন্য আমি কাজ করি ওরা মুখে কিছু বলতে পারে না, কিন্তু আমি যখন ওদের মুখে হাসি দেখি, আমার উপস্থিতি টের পেলেই কেমন হেসেওঠে মুখগুলো, তখন আমার বাঁঁচবার ইচ্ছেটা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। শুভ্র তুমি ভালো থেকো, ভালোবাসায় থেকো সবসময়।
প্রতিটি দিন হোক ভালবাসাময়
ধন্যবাদ।