রেজাউল ইসলাম: প্রাথমিক ল্যাব টেস্টের মতে মডার্না ভ্যাক্সিন যা দেহের মধ্যে এন্টিবডি তৈরি করে তা নতুন ভ্যারিয়েন্টেকে সনাক্ত করতে এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। যারা ইতিমধ্যে ভ্যাক্সিন নিয়েছে কথাটি তাদের ক্ষেত্রে সত্যি কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য আরো অধিক গবেষণা প্রয়োজন।
নতুন ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।ভাইরাসটি নিজেকে প্রতিনিয়ত মিউটেন করায় ভাইরাসের নতুন ভার্সন এখন মূল ভাইরাসের চেয়ে খুব সহজে এবং দ্রুত মানুষের সেলকে সংক্রমিত করছে। ইউকে নতুন ভ্যারিয়েন্ট যা সেপ্টেম্বরে ধরা পড়েছিল তা ৭০% দ্রুত সংক্রমণে সক্ষম। বর্তমানের ভ্যাক্সিন ভাইরাসের সূচনালগ্নের ভ্যারিয়েন্টকে লক্ষ্য ধরে তৈরি করা হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা মনে করে এই ভ্যাক্সিন নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে সক্ষম যদিও খুব একটা ভালভাবে হয়তো নয়। ইতিমধ্যে প্রাথমিক গবেষণা বলছে যে , ভ্যাক্সিন ইউকে নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। মডার্নার নিজস্ব স্টাডিতে দেখা যায় যে, আটজন ব্যক্তি যারা দুই ডোজ মডার্না ভ্যাক্সিন নিয়েছেন, তাদের রক্তের নমুনা নিয়ে দেখা গেছে যে ভ্যাক্সিন নতুন ভ্যারিয়েন্টকে সনাক্ত করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে তৈরি এন্টিবডি নিউট্রিলাইজ করার মধ্যমে ভাইরাসকে দেহে প্রবেশে বাধা দেয়। রক্তের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রমান করে যে নতুন ভ্যারিয়েন্টে পর্যাপ্ত এন্টিবডি রয়েছে যা নিউট্রিলাইজেসনের কার্যকারিতা আনতে সক্ষম, যদিও সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাক্সিন তত শক্তিশালীভাবে কাজ করবে না যত না শক্তিশালীভাবে ইউকে ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে কাজ করবে।
মডার্নার মতে, এর অর্থ হচ্ছে সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিন্টের ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিনের প্রতিরোধ দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে। মডার্না এক্ষেত্রে ভ্যাক্সিনের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানোর জন্য তৃতীয় শর্ট ভ্যাক্সিন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছে যা ফলদায়ক হতে পারে। অন্যান্য বিজ্ঞানীদের মত কোম্পানীও বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখছে যে, ভ্যাক্সিনের নতুন পরিবর্তিত ডিজাইন হয়ত নতুন ভ্যারিন্টের বিরুদ্ধে ম্যাচ হতে পারে যা ভালো ফল বয়ে আনতে পারে। ইউকেতে এই পর্যন্ত ৬.৩ মিলিয়ন ব্যক্তি হয় মডার্না, অথবা ফাইজার কিংবা এস্টাজেনিকার প্রথম ডোজ ভ্যক্সিন গ্রহন করেছে।