‘মুজিববর্ষ’ লক্ষ্যে সারা দেশে একযোগে ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মসজিদগুলোর উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মোহাম্মদ আতাউর রহমান। পরে দেশে ইসলাম প্রচার-প্রসারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিকৃত শীর্ষক একটি ভিডিও দেখানো হয়।
প্রথম ধাপে উদ্বোধন করা ৫০টি মডেল মসজিদগুলো ঢাকার সাভার উপজেলা, ফরিদপুরের মধুখালী ও সালথা উপজেলা, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর উপজেলা, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা, রাজবাড়ি সদর উপজেলা, শরিয়তপুর সদর ও গোসাইহাট উপজেলা, বগুড়ার শারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু উপজেলা, নওগাঁর সাপাহার ও পরশা উপজেলা সিরাজগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলা, পাবনার চাটমোহর উপজেলা, রাজশাহীর গোদাগারি ও পাবা উপজেলা, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরোল উপজেলা, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা, পঞ্চগড় সদর ও দেবীগঞ্জ উপজেলা, রংপুর জেলা, সদর উপজেলা, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও তারাকান্দা উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলা, লোহাগড়া, মীরসরাইর ও সন্দ্বীপ উপজেলা, জামালপুর সদর ও ইসলামপুর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগর উপজেলা, ভোলা সদর, সিলেটের দক্ষিণসুরমা উপজেলা, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা, খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা, কুষ্টিয়া সদর, খুলনা জেলা, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় নির্মিত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছরের শেষ নাগাদ আরো ১০০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হবে।
এটা বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদ প্রকল্প হতে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় ও ডিসেম্বরে তৃতীয় পর্যায়ে আরো ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করা হবে।
ইসলামের আদর্শের সাথে মিল রেখে এবং জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের কথা চিন্তা করেন। পদ্মা বহুমুখী সেতুর পর, নিজস্ব অর্থায়নে এটা সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প।