ভারতের মণিপুর রাজ্য সরকার বিক্ষোভকারীদের ‘দেখামাত্র গুলির’ নির্দেশ দিয়েছে। সহিংসতা বন্ধে সরকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদার করেছে এবং সেনা মোতায়েন করেছে।
মেইতি জনজাতি তফসিলি মর্যাদা আদায়ে দীর্ঘ এক দশক আন্দোলন করছে। মণিপুরের বিজেপি সরকার সেই দাবি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ কুকিসহ অধিকাংশ আদিবাসী সংগঠন। তাদের বক্তব্য, মেইতিরা যদি তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি পেয়ে যায়, তাহলে আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুন্ন হবে।
বুধবার অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন আদিবাসী ঐক্য মিছিলের ডাক দেয় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। সেই মিছিল থেকেই সংঘাতের সূচনা। বহু এলাকায় হাতাহাতি, মারধর, দোকানপাট ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের আট জেলায় জারি করা হয়েছে কারফিউ।
এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে, দাঙ্গা পুলিশ ব্যাটালিয়ান র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের প্রায় ৫০০ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সেনা, আসাম রাইফেলস, কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে।
নিরাপত্তা বাহিনী সহিংসতা কবলিত এলাকা থেকে ৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে। একজন প্রতিরক্ষা মুখপাত্র জানিয়েছেন, চূড়াচাঁদপুরে প্রায় পাঁচ হাজার লোককে নিরাপদ বাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, আরও দুই হাজার লোককে ইম্ফল উপত্যকায় এবং দুই হাজারকে তেনুগোপাল জেলার সীমান্ত শহর মোরেতে স্থানান্তর করা হয়েছে।