চীনের শিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরগুলোতে থাকা হাজার হাজার উইঘুর মুসলমানের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। চীনা পুলিশের কম্পিউটার সার্ভার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এসব ছবি উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বছর এই ছবিগুলো বিবিসির হাতে আসে। সংবাদমাধ্যমটি এসব ছবি ও তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতে দীর্ঘসময় ধরে তদন্ত করে। তাতে দেখা গেছে, এসব বন্দির মধ্যে ১৫ বছরের কিশোরী থেকে শুরু করে ৭৩ বছরের বৃদ্ধও রয়েছেন।
চীন বরাবরই দাবি করে আসছে, উইঘুরদের নির্যাতন নয়, বরং প্রশিক্ষিত করতে এসব ‘কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্রে’ পাঠানো হয়। তবে প্রাপ্ত ছবি ও তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, আদতে ধর্ম বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক ও জাতিগত পরিচয় মুছে ফেলতে এসব বন্দিশিবিরে বছরের পর বছর ধরে উইঘুরদের আটক ও নির্যাতন করা হয়। এই বন্দিশিবিরগুলো পরিচালনা করা হয় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নির্দেশে।
হ্যাক করা ফাইলগুলোতে পাঁচ হাজারের বেশি উইঘুরের ছবি রয়েছে। এসব ছবি ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে তুলেছিল চীনা পুলিশ। এদের অনেককে আটক করা হয়েছিল স্রেফ ইসলামিক ধর্মবিশ্বাস কিংবা মুসলিম দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য। অনেক ছবির পাশে ব্যাটন হাতে পুলিশ সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
যেসব ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে তাজিগুল তাহির নামে ৬০ বছরের এক নারী ছিলেন। তার ছেলে মদ ও ধুমপান করে না। শুধুমাত্র এই অজুহাতে তাজিগুলকে আটক করা হয়।
রাহিলি ওমের নামের এক কিশোরী হচ্ছে বন্দিদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। আর সবচেয়ে বেশি বয়সী হচ্ছেন আয়হান হামিত নামের ৭৩ বছরের এক নারী।