ডাঃতাবাস্সুম উর্মি রোজা
পৃথিবীজুড়ে স্বাস্থ্যবিদরা বলেছেন, সুস্থতার জন্যে নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা চালিয়ে যেতে। তারা বলেছেন, শতকরা ৭৫ ভাগ রোগের ক্ষেত্রে কোনো ওষুধের প্রয়োজন নেই। এজমা, আইবিএস, এলার্জি, মাইগ্রেন, ব্যথা-বেদনাসহ এ ধরনের রোগগুলোকে চিকিৎসকরা মনোদৈহিক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মনের দুঃখ-কষ্ট, রাগ-ক্ষোভ, দুশ্চিন্তা- হতাশা দূর হয়ে গেলেই স্বাভাবিকভাবে ভালো হয়ে যায় এ রোগগুলো। আর নিজেকে স্ট্রেসমুক্ত করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় মেডিটেশন। মেডিটেশনের স্তরেই মানুষ উপলব্ধি করে নিজের প্রতি মনোযোগী হওয়ার গুরুত্ব।
নবীজী (সঃ) এর একটি হাদীস হচ্ছে, তোমাদের শরীরের হৃদপিণ্ডের পাশে একটি মাংসপিণ্ড আছে তা ভালো থাকলে সারা দেহ ভালো থাকে আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, সমস্ত দেহ খারাপ বা দূষিত হয়ে যায়। এজন্যে মনের সুস্থতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মনে যদি রাগ-ক্ষোভ-ঈর্ষা-ঘৃণা দিয়ে পরিপূর্ণ রাখি তার দুগর্ন্ধ তো চারপাশে পড়বেই। মনকে আর্বজনা বা দূষণমুক্ত করার জন্যেই প্রয়োজন মেডিটেশনের।
গবেষণায় দেখা গেছে, আসক্ত মানুষের মস্তিষ্কের নিউরোনে এক ধরনের জড়তা থাকে। নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তারা। আশার কথা, নিয়মিত মেডিটেশন চর্চায় নিউরোনের এ জড়তা কেটে যায়। তাই কেউ যদি ফাস্টফুডের আকর্ষণ ছেড়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাহলে তারা আজই শুরু করতে পারেন মেডিটেশন।
‘ভালো স্বাস্থ্য পেতে হলে আগে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তোমার অনিয়ন্ত্রিত মন তোমার যত ক্ষতি করতে পারে, তোমার সবচেয়ে বড় শত্রুও তোমার অত ক্ষতি করতে পারে না।‘
আর মনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যেই প্রয়োজন মেডিটেশন। বৈজ্ঞানিক জীবনাচার আপনার অনুসরণ করা সহজ হবে যদি মেডিটেশনকে আপনি সঙ্গী বানাতে পারেন। একজন ধ্যানীকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় গড়পড়তা মানুষের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ।