ছয় দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে মরক্কোর সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশটির প্রত্যন্ত গ্রামে নিখোঁজদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। রোববার মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে এবং এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে আটলাস পর্বতমালার কাছে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। এর স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ২০ সেকেন্ড।
ভূমিকম্পের পর রোববার তৃতীয় রাতে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। ত্রাণ কর্মীরা হাই এটলাস এলাকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামে পৌঁছানোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। প্রত্যন্ত পার্বত্য এই অঞ্চলটির অনেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে।
মরক্কোর সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ১২২ এ পৌঁছেছে এবং ২ হাজার ৪২১ জন আহত হয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বাদশ শতাব্দির একটি মসজিদ ধসে পড়ার খবর দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট মারাকেচ পুরাতন শহরের কিছু অংশও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
মারাকেচ থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণের গ্রাম মৌলে ব্রাহিমে বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ বের করে আনছেন।
হুসেইন আদনাই নামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস লোকেরা এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে আছে। ‘তারা সময়মতো উদ্ধার না হওয়ার কারণে মারা গেছে। আমি আমার বাচ্চাদের উদ্ধার করেছি এবং আমি তাদের জন্য আশ্রয় এবং ঘর থেকে পরার কিছু আনার চেষ্টা করছি’ বলেন তিনি।