নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লার তল্লায় বায়তুস সালাত মসজিদে এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলছে। এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আছেন এখনো আরো ১৩ জন।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার রাত আড়াইটায় সময় শামীম হাসান (৪৫), রোববার সকাল ৮টায় জুলহাস (৩৫) ও দুপুর ১২টার দিকে মোহাম্মদ আলী (৫৫) নামের এই তিনজন মারা যান। এখন পর্যন্ত ২০ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন, মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), মোস্তফা কামাল (৩৪), রাশেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭২), জামাল আবেদিন (৪০), ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), মো. রিফাত (১৮), মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), রাসেল (৩৪), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুবায়ের (৭), নাদিম (৪৫), বাহার উদ্দিন (৫৫), শামীম হাসান (৪৫) জুলহাস (৩৫) ও মোহাম্মদ আলী (৫৫)।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রায় সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের বিস্ফোরণ হয়। মসজিদের নিচে গ্যাসের লাইনে অসংখ্য লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।