বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির দ্বিতীয় বছর চলছে। করোনার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনও আসেনি। সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রেয়াসুস।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আগামী জুলাই মাসে জাপানের টোকিয়োতে অলিম্পিক্সের আসর বসার কথা। তার আগে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের অভিঘাত চিন্তায় ফেলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। এ পরিস্থিতিতে প্রত্যেক দেশকে সতর্কতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
তেদ্রস বলেন, ‘ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগের। সেখানে প্রতিদিন সংক্রমণ, হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও মৃত্যু বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ২৪৩ জনের শরীরে। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ২২৯ জনের।
ভারতের পাশাপাশি নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড এবং মিশরেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এসব দেশেও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও অনেক অঞ্চলে এখনো উচ্চ সংক্রমণ রয়েছে। এ ছাড়া আফ্রিকার অনেক দেশেও উচ্চ সংক্রমণ বিরাজ করছে।
করোনায় এ পর্যন্ত ৩০ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন জানিয়ে গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘আমরা মহামারির দ্বিতীয় বছরে আছি। এই বছর আগের বছরের চেয়েও ভয়াবহ হবে।’
চলতি সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টকে (করোনার ভারতীয় স্ট্রেইন) ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।ভারতে এই ভ্যারিয়েন্টের ইতিমধ্যেই ৪৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
হু প্রধান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনায় মৃত্যু রোধে ভ্যাকসিন সরবরাহও একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা জীবন ও জীবিকা রক্ষা করে। এর সমন্বয় সাধনই মহামারি থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।’