বোধের দরোজা
বোধের দরোজা খুলে যে ডাকে ভেতরে, সাড়া দেই। দেখি, বারান্দায় হালকা মেঘের মতো শাড়ি ওড়ে, সঙ্গে পেটিকোট, ব্লাউজ আর কালো ব্রেসিয়ার। দৃশ্যের ভেতরে আরো ছিল যারা আমাকে দেখেই তারা ভেতরে পালালো।… টবের ভেতরে লাল, পাপড়িতে নীল প্রজাপতি; প্রতিটি বারান্দা জুড়ে ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য ঝুলে আছে।…সেই কবে বৃষ্টি নেমেছিল, আর দ্যাখা নাই। গাছের পাতারা ধূলো জমে জমে কালো, উধাও সবুজ আর দুপুরের কাক।
মানুষের যৌবনও বড়ো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। কেবল ঈশ্বর জানেন, কী করে রাখতে হয় ধরে অফুরন্ত আগুন। কাল রাতে তাঁর সাথে সপ্ত আসমানে দেখা হয়েছিল। বললেন, বড় বে-অকুফ তোমাদের অই মনুষ্য প্রজাতি! আমার আগুন থেকে যে সামান্য তাদের দিয়েছি তারা তার সদ্ব্যবহার কখনো করেনি। পাপ হবে? ভেবেছে পাপের কথা শুধু, আর পরকাল পরকাল করে অন্ধকার খুঁজেছে স্বর্গের সিঁড়ি। বে-অকুফদের জন্যে আজকাল বড় কষ্ট পাই…
মাথার ভেতর থেকে ঈশ্বর বিদায় নিলে চোখ যায় পুনরায় বারান্দার টবে, দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে, দেখি সেই একই দৃশ্য : হালকা মেঘের মতো শাড়ি ওড়ে সঙ্গে পেটিকোট,। ব্লাউজ আর কালো ব্রেসিয়ার।
দৃশ্যটি ঝাপসা করে হঠাৎ বৃষ্টি নামে বহুদিন পর।
মাইণ্ডস্ক্যাপ / এক্রেলিক রঙে বোর্ডের উপরে আঁকা
শিল্পিঃ সৈয়দ ইকবাল