বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে শূন্য রেখার কাছাকাছি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি গোলা এসে পড়ার ঘটনায় দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো-কে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকার তলবে হাজির হন রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো। সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অণু বিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির রাষ্ট্রদূতের কাছে দেশটি থেকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের পড়া গোলার বিষয়ে ব্যাখ্যা চান। ফের এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানো হয়।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, সম্প্রতি মর্টার শেলসহ মিয়ানমারের গোলা পড়ার ঘটনায় নেইপিডোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে শূন্য রেখার কাছাকাছি বাংলাদেশ সীমান্তে এসে দুটি গোলা পড়ে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম দুটি গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়। যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮-১০টি গোলা ছোড়া হয় আর হেলিকপ্টার থেকেও ৩০-৩৫টি গুলি করা হয়। এ সময় বাংলাদেশের সীমানা পিলার ৪০-এর ১২০ মিটার অভ্যন্তরে যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে পড়ে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ ও ২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে মর্টারশেল বাংলাদেশে এসে পড়ে। সে কারণে ২১ ও ২৯ আগস্ট মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। এবার দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো সীমান্তের ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হলো।
এদিকে, মিয়ানমারের সীমান্তের ঘটনায় বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে একজনও মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।