গত ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংকের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এটিএম বুথ থেকে অর্থ উত্তোলনের সীমা ১২০ মার্কিন ডলারের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপরও ব্যাংক হিসাবধারীরা নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ তুলতে পারছেন না, গ্রাহকরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী কিংবা পাওনাদারদের অর্থ দিতে পারছে না। এর ফলে ঋণ ও দেনার অর্থ অসংগৃহীতই থেকে যাচ্ছে।
অথর্নীতির নিম্নগতির কারণে মিয়ানমারের মুদ্রা কায়াতের মান ডলারের বিপরীতে ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির ১০০ এর কম এটিএম বুথে অর্থ মিলছে। মুদ্র সংকট এতোটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ নিতে চাচ্ছে না, কেবল নগদ অর্থেই তারা লেনদেন করবে বলে সাফ জানিয়েছে। আর যারা অনলাইনে লেনদেন করছে তারা সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৭ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ কেটে নিচ্ছে। এর ফলে এখন মিয়ানমারে মুদ্রার মান দুটি : নগদের উচ্চমূল্য এবং অনলাইন লেনদেনে নিম্নমূল্য।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মিয়ানমার বিষয়ক উপদেষ্টা রিচার্ড হর্সে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে সবকিছু বরফের মতো জমে গেছে। এটা অনেক গভীর, গভীর অর্থনৈতিক সংকট। এটা আস্থার ইস্যু- সরকার, ব্যাংক ও অর্থনীতির ওপর আস্থা।’