সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে মিয়ানমারে অন্তত ৪৩ শিশু নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) অধিকার সংস্থা সেফ দ্য চিলড্রেন এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, মিয়ানমারে দুঃস্বপ্নের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিহতদের মধ্যে ৭ বছরের শিশুটিই সবচেয়ে কম বয়সি।
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। দেশটিতে অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৫ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনী অহরহ সড়কে গুলি চালিয়ে মানুষদের হত্যা করেছে। এমনকি কিছু কিছু মানুষকে বাড়িতে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ৭ বছরের খিন মায়ো চিতের পরিবার বিবিসিকে জানিয়েছে, বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় খিন যখন তার বাবার কোলে ছুটে যাচ্ছিল তখনই নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করে। এর কিছুক্ষণ পর মারা যায় শিশুটি। মান্ডালেতে বাড়ির ভেতরে অবস্থানের সময় গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের আরেক শিশু। এছাড়া ইয়াঙ্গুনে সড়কে খেলার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ১৩ বছরের আরেক শিশু।
সেভ দ্য চিলড্রেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত চলাকালে বিপুল সংখ্যক শিশু আহত হয়েছে। এদের মধ্যে এক বছরের এক শিশুর চোখে বিদ্ধ হয়েছিল রাবার বুলেট। এই সহিংসতার কারণে শিশুরা ভয়, উদ্বেগ ও চাপ অনুভব করায় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘শিশুরা সহিংসতা ও ভয়াবহতার প্রত্যক্ষদর্শী। এটা স্পষ্ট যে, মিয়ানমার আর শিশুদের জন্য নিরাপদ স্থান নয়।’