গত জুলাইয়ে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার আগ পর্যন্ত কাবায়া মে কোনোদিনও ট্রাউজার পড়েননি। মিয়ানমারের অন্যান্য নারীর মতোই সাগিং অঞ্চলের ২৩ বছরের এই শিক্ষিকা টাখনু পর্যন্ত দীর্ঘ লুঙ্গি পরতেন, যাকে স্থানীয়ভাবে হতমেইন বলে থাকেন। এখন তিনি মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ঘোষিত নারী যোদ্ধাদের দল মায়াং উইমেন ওয়ারিয়র্সের সদস্য।
কাবায়া মে বলেন, ‘আমি কুকুরদের মূলোৎপাটন করতে চাই বলে যোগ দিয়েছি। আমি একমাত্র নারী প্রতিরোধ দলে যোগ দিয়েছি, শুধু এটা দেখিয়ে দিতে যে, পুরুষরা যা করছে তা নারীরাও করতে পারে।’
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। দেশটিতে সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী। সম্প্রতি সেনা সরকারকে উৎখাতে বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। এই বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন নারীরাও।
সাবেক শিক্ষক কাবায়া মে দুই মাস আগে প্রতিষ্ঠিত মায়াং উইমেন ওয়ারিয়র্স গ্রুপে যোগ দেন।
তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর কোনো কিছুই ভালো যাচ্ছে না। তরুণরা মনে করছে আমরা আমাদের সময় নষ্ট করছি। আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি না। কুকুররা (সামরিক বাহিনী) এলে মানুষ ভয় পায়। আমি আর এসব দেখতে চাই না।’
মায়াং উইমেন ওয়ারিয়র্সের মুখপাত্র আমারা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, তাদের গ্রুপটি লিঙ্গ অসমতাকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়। সমাজ পুরুষ ও নারীদের জন্য কাজ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এই প্রথা ভাঙতে চাই এবং দেখাতে চাই, যে হাত শিশুর দোলনা দোলায় সেই হাত সশস্ত্র বিপ্লবের অংশও হতে পারে।’