কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হলো কেন? রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকাকালীন তার কি করে মৃত্যু হলো এবং এই মৃত্যুর দায় কে নেবে? কী ছিল তার অপরাধ? তার অপরাধ তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি বিদ্রূপাত্মক কার্টুনের ক্যাপশন দিয়েছিলেন।
এই অপরাধে তিনি নয় মাস ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দী ছিলেন। ছয়বার তার জামিন এর আবেদন নাকচ হয়ে যায়। অথচ কতো সহজে বাংলাদেশের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই সহোদর হারিস এবং আনিসের মতো খুনের দায়ে দণ্ডিত যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের পলাতক থাকা সত্ত্বেও দণ্ড মওকুফ করে দেয়া হয়।
মুশতাক আহমেদের মতো একই ধরণের অপরাধে কার্টুনিস্ট কিশোর এখনো কারাগারে বন্দী আছেন। কবে হয়তো খবর আসবে কিশোরও নেই। কারণ যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায় কিশোররের শাররিক অবস্থাও ভালো নয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সবার মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে আর সেই ভয়ের কারণে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকেও হিসাব করে কথা বলতে দেখা যায়। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে।বিনপি সরকারের আমলে ফ্রিডম অব স্পিচ এবং ফ্রিডম অব প্রেসের স্বাধীনতা খর্ব করে যা বাকি রেখে গিয়েছিল বর্তমান ক্ষমতাসীন দল এসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বানিয়ে তার ষোলকলা পূর্ণ করেছে।
এই আইনটি নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের কর্মীরা। তাদের যে আশঙ্কা ছিল আইনটির কারণে বাক্ স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রোধ করা হবে। বিভিন্ন ধারায় হয়রানি করা হবে এবং এর অপব্যবহার হতে পারে। তাঁরই ধারাবাহিকতায় মুশতা্ক, কিশোরদের এই করুণ পরিণতি।