এ বছর অমর একুশে বইমেলায় ৬০ কোটির বেশি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ৩ হাজার ৭৫১টি। গত বছর বই বিক্রি হয়েছিল ৪৭ কোটি টাকার বেশি। গত বছর নতুন বই এসেছিল ৩ হাজার ৭৩০টি৷
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক শাহেদ মমতাজ৷
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সম্মানীয় অতিথি ছিলেন নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন৷ স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা৷
নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি আমি বইমেলার উদ্বোধনী আয়োজনে এসেছিলাম৷ জীবনে চিন্তাও করিনি, বইমেলার সমাপনী আয়োজনে আমি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে হাজির হবো৷ বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা এখন ঐতিহ্য হয়ে গেছে৷ এই বইমেলা স্থানান্তরের বিষয়ে কথা উঠেছে৷ আমরা বইমেলা এখানে রাখার ব্যবস্থা করব।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল চৌধুরী বলেন, সারা পৃথিবীর ঘুরলেও এমন একটি বইমেলা খুঁজে পাবেন না৷ এ বইমেলা আমাদের আবেগের মেলা, জাতিসত্তার মেলা৷ এই বইমেলা জাতি হয়ে ওঠার মেলা, আমাদের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসার বইমেলা৷
২০২৩ সালে সর্বাধিক মানসম্মত বই প্রকাশের জন্য চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে কথাপ্রকাশ। ২০২৩ সালে প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে মান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা বই মনজুর আহমদের ‘একুশ শতকে বাংলাদেশ: শিক্ষার রূপান্তর’ এর জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত ‘যাত্রাতিহাস: বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত’ বইয়ের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত ‘কিলো ফ্লাইট’ বইয়ের জন্য জার্নিম্যান বুকসকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়৷ ২০২৩ সালে মান বিচারে সর্বাধিক সংখ্যক শিশুতোষ বইয়ের প্রকাশের জন্য ‘ময়ূরপঙ্খি’ পেয়েছে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’। এ বছর অমর একুশে বইমেলায় নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেঙ্গল বুকস, নিমফিয়া পাবলিকেশন এবং অন্যপ্রকাশ পেয়েছে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’।