টরন্টোর কেউ যখন ঢাকায় গিয়ে সমাদৃত হয়,সুনাম করে টরন্টোর সব বাঙালীরই ভালো লাগার কথা।
সৈয়দ ইকবাল গত বছরের শেষে দারুণ এক নিজের আঁকা ছবি প্রদর্শনী টরন্টোতে করে ২০২০ নতুন বছরে ঢাকার একুশে বইমেলায় নিজের লেখা ৩৬তম বই উপন্যাস ‘মেয়ে তুমি জাঞ্জিবার টরন্টো’র সাফল্যে মেতে আছেন। সন্ধ্যায় রয়েল পাবলিশার্স স্টলে দাড়িয়ে বইটি অটোগ্রাফ দিয়ে বিক্রী করছে, তরুণরাই বেশী এই বইয়ের ক্রেতা।বয়স্কদের মধ্যও তার পূর্ব পরিচিত অনেক ফ্যান।।
প্রায় প্রত্যেক বাংলা দৈনিকে বইটির প্রচ্ছদ ও শর্ট নোট ছাপা হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে লিডিং ইংরেজী দৈনিক ‘ডেইলী স্টারে’ও বেশ বড় কাভারেজ দিয়েছে ‘মেয়ে তুমি জাঞ্জিবার টরন্টো’র।
আর টিভিতে আধ ঘন্টার অনুষ্ঠান ‘তারকালাপ’এ ডেকেছে শিল্পী সৈয়দ ইকবালকে নতুন বইয়ের কথা ও তার ১৮তম একক প্রদর্শনীর কথা বলতে।বইটির মূল চরিত্র ও কাহিনী স্রোত সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয়- টরন্টো শহরের ডাউন টাউনে শত বছর পুরোনো নুডবারের নামই ‘জাঞ্জিবার’।
সেখানেই নাচে বাইশ বছরের লেবানিজ মেয়ে সারা।আর এই উপন্যাসের মূল চরিত্র কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশের যুবক সুবোধ চরম বিষাদে ডুবতে বসলে মাঝে মধ্যে এখানে আসে।সুবোধের কাঁধেই বড় দায়িত্ব ছোট ভাই বোন ও মায়ের,বাবা মারা যাওয়ারর পর থেকে।শিক্ষা শেষে ভালো চাকরী কর ছিলো।চাকরী সূত্রেই কানাডা তার আসা।
ছোট ভাই বোনদের শিক্ষা দীক্ষা আর নিরাপত্তায় কানাডায় তাদের জীবন পাল্টে যাবে সেই স্বপ্নে মা অনেক কেঁদে শেষ পর্যন্ত রাজী হয়ে ছিলেন এদেশে থিতু হওয়ার চেষ্টা নিতে।সুবোধ যেমন বাস্তববাদী ঠিক ততটাই স্বপ্নচারী। সারা সঙ্গে সুবোধের পরিচয় ভালোবাসায় দ্রুত পাল্টাতে থাকে তার জীবন।সারা আসলে ফারা লেবানিজ সমভ্রান্ত মুসলিম ঘরের পিতৃহীন মেয়ে,তার মতই তার মা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে ভাসতে-ভাসতে টরন্টোর মেক্সিকান গ্যাংস্টারে হাতে জিম্মী এখন।
সুবোধ নিজের সব স্বপ্ন কানাডায় ফেলে সারা কে নিয়ে পালাতে চাইলো বাংলাদেশে।পারবে কি?নাকি গ্যাংস্টার মার্তিনো তার জীবনটাই চুরমার করে দেবে!এসবই বিস্তারিত পাবেন ‘মেয়ে তুমি জাঞ্জিবার টরন্টো’ উপন্যাসে।