অনেক প্রতীক্ষার পর ঘোষণা হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম। যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন কনজারভেটিভ পার্টির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। খবর: বিবিসি।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায়) ঘোষণা করা হয় নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম।
বেশ কিছু কেলেঙ্কারির কারণে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বরিস জনসন। এরপরই কনজারভেটিভ দলের নতুন প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। কনজারভেটিভ দলের প্রায় দুই লাখ সদস্য ভোটার ছিলেন।
প্রায় দুই মাস ধরে চলা নেতা নির্বাচনের এই প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত ধাপের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক। তাদের মধ্যে লিজ ট্রাসই এগিয়ে ছিলেন।
৪৭ বছর বয়সী লিজ ট্রাস বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা ছিলেন গণিতের শিক্ষক এবং মা নার্স। ট্রাস অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। লেখাপড়া শেষ করে কিছুদিন অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেন তিনি। এরপর নামেন রাজনীতিতে নামেন। ট্রাস প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। তিনি প্রাথমিকভাবে ব্রেক্সিট, অর্থাৎ যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন।
ফল ঘোষণার পর বিজয়ী নেতার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বরিস জনসন। ক্ষমতার এই হস্তান্তর সাধারণত লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে হয়ে থাকে। তবে এবার সেটা হবে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বর্তমানে স্কটল্যান্ডে তার গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাচ্ছেন। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় জনসমক্ষে প্রকাশ্যে উপস্থিতিও কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই এই মুহূর্তে লন্ডনে ফেরার কোনও পরিকল্পনা নেই রানির। এ কারণেই ক্ষমতা হস্তান্তরের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে এবার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে।
ফলাফলের পর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদায়ী বক্তব্য দেবেন বরিস জনসন। এরপর তিনি স্কটল্যান্ডে যাবেন। সেখানে জনসন রানিকে তার পদত্যাগের কথা জানাবেন।