যুক্তরাজ্য থেকে আসা প্রবাসীদের নিজ খরচেই নির্ধারিত হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে সিলেটে দুটি হোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হোটেল স্টার প্যাসিফিক ও হোটেল হলিগেইট প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি আরো কয়েকটি হোটেল প্রস্তুতের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম জানান, লন্ডন থেকে যেসব প্রবাসী সিলেটে আসবেন তাদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত দুটি হোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে সিলেটে ৬০০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অধিক সংক্রামক নভেল করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত রূপ ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইতোমধ্যে ৪০টির মতো দেশ বিমান চলাচল বন্ধ রাখলেও বাংলাদেশের সঙ্গে এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্য, ঝুঁকি কমাতে গত ২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরাদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেন। আর তা বাস্তবায়ন হয়েছে ১ জানুয়ারি (শুক্রবার) থেকে। এ কারণে এ দিন যারাই বাংলাদেশে ফিরছেন, করোনা নেগেটিভ সনদ সঙ্গে থাকলেও তাদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে কাটাতে হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট (সোমবার ও বৃহস্পতিবার) সরাসরি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ হিসেবে আগামী সোমবার (৪ জানুয়ারি) যেসব যাত্রী লন্ডন থেকে সিলেট আসবেন, তাদের নির্ধারিত হোটেলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
যারা কোয়ারেন্টাইনের খরচ দিতে পারবেন না, তারা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা সিলেটের খাদিমনগর এলাকার বিআরডিটিআই ক্যাম্পে থাকবেন। আর যারা টাকা দিয়ে মোটামুটি মানের হোটেলে থাকতে চাইবেন, তাদের জন্য সে্ই রকম ব্যবস্থা করা হবে। যারা উন্নত হোটেলে থাকতে চাইবেন, তাদের জন্য সেভাবেই হোটেলের ব্যবস্থা করা হবে।