নিরস্ত্র এক বেসামরিক ইউক্রেইনীয় নাগরিককে হত্যার অভিযোগ আদালতে স্বীকার করেছেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ২১ বছর বয়সী সদস্য ভাদিম শিশিমারিন। ধারণা করা হচ্ছে বিচারে এই সেনা সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর শিশিমারিনের বিচার ইউক্রেইনে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রথম বিচার কার্যক্রম।
বিবিসি জানায়, বুধবার (১৮ মে) আদালতের একটি ছোট্ট কক্ষে শিশিমারিনকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে আসেন ভারী অস্ত্রসজ্জিত নিরাপত্তারক্ষীরা। এ সময় তাকে অনেকটা ভীত দেখাচ্ছিল। আদালতে নিহত ৬২ বছর বয়সী ব্যক্তির বিধবা স্ত্রীকে শিশিমারিন থেকে কয়েক মিটার দূরে বসে থাকতে দেখা গেছে।
প্রসিকিউটর অফিস জানায়, রাশিয়ার একটি ট্যাংক বহরের কমান্ড করছিলেন শিশিমারিন। এ সময় তার বহর ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার সম্মুখীন হয়। পরে তিনিসহ অন্য চার রুশ সেনা একটি গাড়ি চুরি করে কিয়েভ থেকে ৩২২ কিলোমিটার দূরের চুপাকহিভকা গ্রামের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা বাইসাইকেলে থাকা একজন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেন।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল ইরিনা ভেনেডিক্টোভা জানান, তার কার্যালয় ৪১ জন রুশ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা প্রস্তুত নিচ্ছে। মামলাগুলোর মধ্যে বেসামরিক অবকাঠামোতে বোমা হামলা, বেসামরিক লোকদের হত্যা, ধর্ষণ এবং লুটপাটের মতো ঘটনা রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, সন্দেহভাজনদের মধ্যে (রাশিয়ার সেনা) কতজন ইউক্রেনের হাতে আটক রয়েছে এবং কতজনকে অনুপস্থিতিতে বিচার করা হবে তা এখনো জানা যায়নি।
ইরিনা ভেনেডিক্টোভার কার্যালয় জানায়, তারা ১০ হাজার ৭০০ যুদ্ধাপরাধ ঘটনার তদন্ত করছেন। এতে রাশিয়ার সেনা ও সরকারি কর্মকর্তাসহ ৬০০ জনের বেশি জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, রাশিয়ার সেনারা সম্ভবত হাজার হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিককে হত্যা, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। তারা ইউক্রেন এবং আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করেছে বলে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় প্রসিকিউটররা তদন্ত করছেন।