শুক্রবার পুলিশের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সহকারীর হাতে হত্যার শিকার হন পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, ফাহিমের সহকারী ছিলেন টাইরিস ডেভন হাসপিল।এডভেঞ্চার ক্যাপিটেল’র সবকিছু দেখভালের সুযোগ নিয়ে টাইরেস প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রায় ১লাখ ডলার সরিয়ে ফেলে যেটি পরে বুঝতে পারেন ফাহিম তবে ব্যাপারটি পুলিশকে না জানিয়ে তাকে সুযোগ দেন সেটি ফিরিয়ে দিতে। এর জন্য একটি উপায়ও বাতলে দিয়েছিলেন তিনি।আর ঐ সময় থেকেই ফাহিম সালেহ’কে হত্যার পরিকল্পনা করেন ২১ বছর বয়সী টাইরেস ডেভন হাসপিল।
তদন্তকারীরা পুলিশ জানিয়েছেন, ফাহিম সালেহ সোমবার হত্যার শিকার হন। কিন্তু তার একদিন পর তার ক্রেডিট কার্ডটি ব্যবহার করা হয়। পুলিশ ফাহিমের মৃতদেহ পাওয়ার এক দিন আগে হত্যাকারী প্রমাণ মুছে ফেলতে কিছু সরঞ্জাম ও স্যানিটাইজার অনলাইনে কিনেন। অনলাইন পেমেন্টে ব্যবহার করে ফাহিমের ক্রেডিট কার্ড। পরের দিন মৃতদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করতে এবং প্রমাণ মুছে ফেলতে ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে যায় সে।
১৫ জুলাই ম্যানহাটনে নিজের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ (৩৩)।
আরো পড়ুন: পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার
ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টের লিফটের মধ্যে থাকা সিকিউরিটি ক্যামেরায় দেখা গেছে, লিফটে ফাহিম ও সম্পূর্ণ কালো পোশাক পরিহিত হত্যাকারী একই সঙ্গে প্রবেশ করেছিল। লিফটে তাদের মধ্যে কিছু কথাবার্তাও হয়েছিল। তবে কী কথা হয়েছিলো সেটার অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। লিফট থেকে বের হওয়ার পর ফাহিমের পেছনে আসা হত্যাকারী তার হাত উঁচু করে। এরপরই ফাহিম মেঝেতে পড়ে যান।
পুলিশের ধারণা, হত্যাকারী ট্যাজার গান দিয়ে বৈদ্যুতিক শক ছুড়ে মারায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন ফাহিম। এরপর লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরের ঘটনাগুলোর ভিডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। পরে তাকে অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে অনুমান পুলিশের।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক সিটির ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, গলা ও কাঁধে একাধিক ছুরিকাঘাতে নিহত হয় ফাহিম।