স্রেফ একটা ম্যাজিক। যা জেসন রয়ের জন্য যা ধাঁধাঁ হয়ে ছিল। আম্পায়ারের কাছ ঘেঁষে রানআপ নিয়ে বাড়তি গতির বল। কোনে টার্ন নেই। মিডল স্টাম্পে পড়ে বল রীতিমত ছোবল দিলো। বাড়তি বাউন্স। পেছনের পায়ে ভর করে খেলতে চেয়েও বল মিস রয়ের। বল সোজা স্টাম্পে।
আগের ওভারে সল্টকে টার্নে পরাস্ত করার পর বাঁহাতি স্পিনারের আন্ডার-কাটার বল। রয়ের চোখ ছানাবড়া!
নামের পাশে ২৯৬ উইকেট নিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। এই চট্টগ্রামেই সাকিব পূর্ণ করেছিলেন দুই’শ উইকেট। গতকাল ৪ উইকেট নিয়ে সাকিব নাম লিখান তিন’শ উইকেটের এলিট ক্লাবে। যেখানে সাকিবের আগে পৌঁছাতে পেরেছে কেবল পাঁচজন স্পিনার। তবে ব্যতিক্রমী সাকিব এখানেও কিছুটা এগিয়ে। ছয়জনের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম হিসেবে মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
এলিট এ ক্লাবে যোগ দিতে গিয়ে বেশ কিছু রেকর্ডকে সাক্ষী করেছেন সাকিব। ওয়ানডে ক্রিকেটে যেভাবে তার তিন’শ রেকর্ড হলো তা এক নজরে দেখে নেয়া যাক—
উইকেট টু উইকেট
প্রথম উইকেট: এলটন চিগাম্বুরা (জিম্বাবুয়ে), ২০০৬ হারারে।
১০০তম উইকেট: আসাদ শফিক (পাকিস্তান), ২০১০, ডাম্বুলা।
২০০তম উইকেট: হাশিম আমলা (দক্ষিণ আফ্রিকা), ২০১৫ চট্টগ্রাম।
৩০০তম উইকেট: রেহান আহমেদ (ইংল্যান্ড), ২০২৩, চট্টগ্রাম।
ম্যাচ টু ম্যাচ ব্যবধান
প্রথম উইকেট: প্রথম ম্যাচ।
১০০ তম উইকটে: ৮৮তম ম্যাচ।
২০০ তম উইকটে: ১৫৬তম ম্যাচ।
৩০০ তম উইকটে: ২২৭তম ম্যাচ।
দ্বিতীয় দ্রুততম
মুত্তিয়া মুরালিধরণ— ২০২ ম্যাচ।
সাকিব আল হাসান— ২২৭ ম্যাচ।
অনিল কুম্বলে ২৩৪— ম্যাচ।
ড্যানিয়েল ভেট্টরি— ২৯১ ম্যাচ।
শহীদ আফ্রিদি— ৩১৪ ম্যাচ।
সনাৎ জয়াসুরিয়া— ৩৯৭ ম্যাচ।
অলরাউন্ড কীর্তি
সনাৎ জয়াসুরিয়া (১৩৪৩০ রান, ৩২৩ উইকেট)।
শহীদ আফ্রিদি (৮০৬৪ রান, ৩৯৫ উইকেট)।
সাকিব আল হাসান (৬৯৭৬ রান, ৩০০ উইকেট)।
এক ম্যাচে ফিফটি ও ৪ উইকেট:
সাকিব আল হাসান ৪ বার।
ক্রিস গেইল ৩ বার।
শহীদ আফ্রিদি ৩ বার।
ডিসমিসালস:
ক্যাচ- ১৫৬
বোল্ড- ৬৩
এলবিডব্লিউ- ৫৭
স্টাম্পড- ২৪
কোথায় কত উইকেট:
দেশে- ১৭৮
প্রতিপক্ষের মাঠে- ৭৮
নিরপেক্ষ ভেন্যুতে- ৪৪
প্রিয় প্রতিপক্ষ:
জিম্বাবুয়ে (সর্বোচ্চ ৮২ উইকেট)।
অর্জনের বছর:
২০১০ সাল (২৭ ম্যাচ ৪৬ উইকেট)।
অধিনায়ক হিসেবে উইকেট ৬৮টি।
অধিনায়ক ছাড়া হিসেবে ২৩২টি।
ইনিংস:
প্রথম ইনিংসে- ১৫৮ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে- ১৪২ উইকেট।
দিনের ম্যাচে- ১৫৩ উইকেট।
দিবারাত্রির ম্যাচে- ১৪৭ উইকেট।
সাফল্য-ব্যর্থতা:
জয় পাওয়া ম্যাচে- ১৭৮ উইকেট।
হেরে যাওয়া ম্যাচে- ১১৯ উইকেট।
ফল আসেনি এমন ম্যাচে- ৩ উইকেট।