ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হামলায় মধ্য গাজা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী আকাশ, স্থল, এমনকি সমুদ্রপথেও হামলা চালাচ্ছে সেখানে। মানুষজন মাথার ওপরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের শব্দ শুনতে পাচ্ছে।
দেইর এল-বালার কিছু আবাসিক এলাকাতেও আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি বিমান। সেখানে অনেক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সব লাশ বের করতে পারেনি।
দেইর এল-বালাহ ও মধ্য গাজা এখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। লোকজন দক্ষিণে যাওয়ার চেষ্টা করছে এবং ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু তাদের যাওয়ার জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।
ইসরায়েলের হামলায় উত্তর গাজা ইতিমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আজ সোমবার দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিসেও স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আকাশপথে হামলার পাশাপাশি সেখানে স্থল অভিযানও চালানো হচ্ছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কিছু এলাকার বাসিন্দাদের আরও দক্ষিণে সরে যাওয়ার নিদের্শ দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি ম্যাপ প্রকাশ করেছে তারা। সেখানে খান ইউনিসের কিছু অংশ খালি করার জন্য ‘জোন’ হিসেবে হাইলাইট করা হয়েছে।
ম্যাপে একটি ‘কিআর কোড’ যুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বেসামরিক ব্যক্তিরা তাদের বাড়ি লক্ষ্যবস্তু অংশের মধ্যে পড়ে কিনা, তা জানতে পারবেন।
কিন্তু গাজার বাসিন্দারা কীভাবে এই ধরনের ব্যবস্থা ব্যবহার করবে তা স্পষ্ট নয়। কেননা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ার কারণে সেখানে ইন্টারনেটের ব্যবহার খুবই সীমিত।
খান ইউনিসের বাসিন্দারা ইসরায়েলের নতুন এই স্থানান্তরের নিদের্শ নিয়ে হতাশ ও ভীত। কারণ এখন যে স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, সেগুলোকে আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল।