রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানি সহজতর করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ব্যাংক, শিপিং ও বীমা কোম্পানিগুলিকে এ ব্যাপারে আশ্বস্তের চেষ্টা করেছে ওয়াশিংটন।
কৃষ্ণ সাগরের অবরুদ্ধ ওডেসা বন্দর থেকে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির অনুমতি আদায়ে রাশিয়ার সঙ্গে জাতিসংঘ ও তুর্কি কর্মকর্তারা যে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এটি তারই অংশ। যুদ্ধের কারণে এই বন্দর দিয়ে ইউক্রেন তার শস্য রপ্তানি করতে পারছে না। এর ফলে শস্য, রান্নার তেল, জ্বালানি ও সারের দাম বেড়েছে এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে আলোচনার জন্য ইস্তাম্বুলে মিলিত হওয়ার একদিন পরে যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যপারে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছে। তুরস্ক জানিয়েছে, পক্ষগুলি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে আগামী সপ্তাহে পুনরায় বৈঠকে বসবে।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ‘ইউক্রেনের ও রাশিয়ার শস্য বিশ্ব বাজারে আনার জন্য এবং ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার বিনা প্ররোচনা যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ ও দামের উপর প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।’
শস্য রপ্তানিকারকদের রাশিয়ান ইউনিয়নের প্রধান এডুয়ার্ড জারনিন মার্কিন এই পদক্ষেপকে ‘শুভ ইচ্ছার প্রতিফলন’ এবং ‘বৈশ্বিক ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বাস্তব পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছেন।