গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছিলেন। চলতি মাসেই রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের বড় ধরনের মহড়া চালাতে যাচ্ছে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য রাশিয়ার মহড়া ও পারমাণবিক অস্ত্রের বাস্তব পরিস্থিতি যাচাই করাটা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
রাশিয়া সাধারণত বছরের এই সময়ে বড় পারমাণবিক মহড়া চালিয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা সম্ভবত কয়েক দিনের মধ্যেই এই মহড়ার প্রত্যাশা করছে। এবারের মহড়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে ধারণা করছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পশ্চিমা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘পারমাণবিক মহড়া চালানোর সময় অতিরিক্ত উত্তপ্ত বক্তব্য দেওয়া হয় না। কারণ তখন আমাদের কাছে সত্য নিশ্চিত হওয়াটা অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ হাজির হয়ে দাঁড়ায়। সেটি হচ্ছে-আমরা যে ক্রিয়াগুলি দেখি আর যেগুলি ঘটছে তা আসলে একটি মহড়া নাকি অন্যকিছু।
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ন্যাটো জোট রাশিয়ার বার্ষিক পারমাণবিক মহড়াগুলো খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে, যেমনটি কয়েক দশক ধরে করে আসছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ারমহড়াটি ন্যাটোর নিজস্ব বার্ষিক পারমাণবিক মহড়ার মতো একই সময়ে পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ‘স্টেডফাস্ট নুন’ নামে পরিচিত এবং আগামী সপ্তাহে শুরু হবে।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, রাশিয়ার পারমাণবিক হুমকি এবং ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের সময় এই মহড়া চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি দায়িত্বজ্ঞানহীন।’