চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম লেগের ম্যাচে ঘরের মাঠে হেরে যাওয়ায় প্রতিপক্ষের মাঠে জয়ব্যতীত অন্যকিছু ভাবার সুযোগ ছিল না রিয়াল মাদ্রিদের সামনে। কিন্তু নিজেদের রক্ষণের ভয়াবহ ভুলে জয় দূরে থাক, সান্ত্বনার ড্র’টাও পায়নি জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।আর তাতে দুই লেগেই সমান ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে।
ম্যানচেস্টার সিটির সামনে সমীকরণ ছিল সহজ। দুই গোলের কম ব্যবধানে হারলেই নিশ্চিত হতো কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। তবু ঝুঁকি নিতে চায়নি যেনো পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। নিজেদের মাঠে রিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েই পেয়েছে শেষ আটের নিশ্চয়তা।
রিয়ালের মাঠে প্রথম লেগেও তারা জিতে ফিরেছিল সমান ২-১ ব্যবধানে। দুই লেগ মিলে ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার নিশ্চিত হয়েছে তাদের। সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে আগামী ১৫ আগস্ট দিবাগত রাতে সিটিজেনদের প্রতিপক্ষ ফ্রেঞ্চ ক্লাব অলিম্পিক লিও।
শুক্রবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফেরার উপলক্ষ্যটা রাঙিয়ে নিতে মাত্র ৯ মিনিট সময় খরচ করে ম্যান সিটি। তবে একপ্রকার উপহারই পেয়েছে তারা। রাফায়েল ভারানের ঢিলেমির সুযোগে বল কেড়ে নেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। তার কাছ থেকে পাস পেয়ে অনায়াসেই থিবো কর্তোুয়াকে পরাস্ত করেন রহিম স্টার্লিং।
দুই লেগ মিলে তখন ১-৩ গোলে পিছিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। পরের পর্বে যেতে হলে করতে হবে অন্তত আরো ৩ গোল। তাদের আশা দেখান করিম বেনজেমা। ম্যাচের ২৮ মিনিটের সময় রদ্রিগোর ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে ম্যাচে সমতা ফেরান এ ফ্রেঞ্চ তারকা ফরোয়ার্ড।
ম্যাচে সমতা ফিরলেও আধিপত্য বিস্তার করছিল ম্যান সিটিই। প্রথমার্ধের শেষের ঠিক আগে ও দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরপর দারুণ সুযোগ তৈরি করেন কেভিন ডি ব্রুইন ও রহিম স্টার্লিং। রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার দৃঢ়তায় মেলেনি সাফল্য। তবে রিয়ালের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখার কাজটি ঠিকঠিক করতে পারছিল তারা।
যার সুফলও পেয়ে যায় ৬৮ মিনিটের সময়। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন প্রথম গোলের যোগানদাতা গ্যাব্রিয়েল জেসুস। এবারও ভারানের ভুল। দুইবার সুযোগ পেয়েও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি এ ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার। সুযোগ পেয়ে বল দখলে নিয়েই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ হেসুস। বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের।