উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ম্যাচে রোমাঞ্চকর ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচটি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়েছে। এই ড্র অবশ্য পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের যেমন স্বস্তি দিচ্ছে, তেমনি সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে। কারণ, আগামী মঙ্গলবার রাতে ফিরতি লেগে ম্যানসিটির মাঠে খেলতে যাবে রিয়াল।
এদিন বার্নাব্যুতে শুরুতে বেশ আক্রমণাত্মক খেলে ম্যানসিটি। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে রিয়ালের রক্ষণভাগকে দিশেহারা করে তোলে। ব্যতিব্যস্ত করে তোলে গোলরক্ষক থিবাউট কোর্তোয়াকে। বেলজিয়ান এই গোলরক্ষক অবশ্য দৃঢ়তার পরিচয় দেন। তিনি কেভিন ডি ব্রুইন ও রদ্রির নেওয়া শট রুখে দেন। দুইবার রুখে দেন আরলিং হালান্ডের শট।
তবে ম্যানসিটির আক্রমণের মুখে ৩৬ মিনিটের মাথায় অসাধারণ গোলে রিয়ালকে এগিয়ে নেন ভিনিসিউস জুনিয়র। এ সময় বামদিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ইডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গাকে বল দেন লুকা মদ্রিচ। কামাভিঙ্গা বাড়িয়ে দেন ভিনিসিউসকে। বল পেয়ে ডি বক্সের সামনে গিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শট নেন এই ব্রাজিলিয়ান। বল ম্যানসিটের গোলরক্ষক এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে জালে প্রবেশ করে।
ম্যানসিটির পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে প্রভাব বিস্তার করে খেলতে শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদও। অন্যদিকে ডি ব্রুইনও চেষ্টা চালাতে থাকেন। ৫৫ মিনিটের মাথায় ভিনিসিউসের মতো একই জায়গা থেকে চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সতর্ক কোর্তোয়া ধরে ফেলেন।
এরপর রিয়ালের ফরাসি তারকা অরেলিয়ান চৌমেনি ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলেছিলেন প্রায়। কিন্তু এডারসনকে ফাঁকি দিতে পারেননি।
একের পর এক চেষ্টা চালানো বেলজিয়ান তারকা ডি ব্রুইন অবশেষে ৬৭ মিনিটে সফল হন। এ সময় ডি বক্সের বাইরে ইলকে গুনদোগানের বাড়িয়ে দেওয়া বলে আচমকা শট নেন তিনি। সেটি স্বদেশি কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে প্রবেশ করে।
এরপর এগিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে খেলে রিয়াল। ৭৮ মিনিটে করিম বেনজেমার হেড রুখে দেন এডারসন। ৯০ মিনিটে চৌমেনির শটও আটকে দেন তিনি। ৯০+৩ মিনিটের মাথায় নাচোর শটও রুখে দেন ব্রাজিলিয়ান এই গোলরক্ষক। তাতে রিয়ালের মাঠ থেকে ১-১ গোলের স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানসিটি।
তর্কসাপেক্ষে ইউরোপের সেরা দল ম্যানসিটি কখনো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে বর্তমানে যে চারটি দল টিকে রয়েছে তাদের মধ্যে বলা যায় সবচেয়ে সেরা স্কাই ব্লুজরা। ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে ফিরতি লেগে ধরাশায়ী করতে পারলে প্রথম শিরোপা জয়ের পথ অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যাবে। কারণ, ফাইনালে তারা পাবে এসি মিলান কিংবা ইন্টার মিলানকে।