পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন সব সময়ই আমাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে, হয়ত খুব একটা সুবিধা হয়নি। তারা এ ইস্যুতে খুব সিন্সিয়ার।’
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপান সফর শেষে দেশে ফিরে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ জাতিসংঘে যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটার সব স্কোপই আছে। জাতিসংঘে আগে আমরা গিয়েছি। কিন্তু, সেখানে যেমন সিকিউরিটি কাউন্সিল…। জাতিসংঘ তো ইদানিং অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। কারণ, বিভিন্ন দেশে তারা সুবিধা করতে পারছে না। যুদ্ধই থামাতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে (জাতিসংঘে) খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের একটি ভয় ছিল— ইউক্রেনের রিফিউজি নিয়ে তাদের আগ্রহ বেশি। সেজন্য আমরা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসি।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আলোচনায় বড় বড় সব দেশ এসেছে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তুর্কির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আমেরিকা সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল ঘোষণা করেছে। যুক্তরাজ্য ছিল। সবাই ছিল। ওটা ভালো ইভেন্ট ছিল। সবাই আমাদের সঙ্গে একমত। রোহিঙ্গা ইস্যু সিরিয়াস ইস্যু। এর সলিউশন দরকার। প্রত্যাবাসন দরকার। এটি সবাই উপলব্ধি করেছে।’
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের করণীয় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন যেটা হচ্ছে, মিয়ানমারে হচ্ছে। এটি আমাদের এখানে হচ্ছে না। আমরা ঠান্ডা মাথায় সামলাবো। আমাদের যা করণীয়, তা আমরা করছি।’
মিয়ানমারের পক্ষ থেকে উসকানি দেওয়া হলে বাংলাদেশ তাদের ফাঁদে পা দেবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে চীনের রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘চীন সব সময় আমাদের ভালো বন্ধু। কিন্তু, খুব সুবিধা হয়নি এখনো। তাদের যথেষ্ট আগ্রহ আছে এবং আন্তরিকতাও আছে।’
র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য তার নিজস্ব
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, ‘র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।’ গত বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পিটার হাস বলেছিলেন, ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা কোনো শাস্তি নয়। তারা যেন তাদের আচরণ পরিবর্তন করে, সেজন্যই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহযোগিতার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আছে। তারা কাজ করছে। আমরা আশা করছি, র্যাবের আচরণ পরিবর্তন হবে।’
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, এটা তার বক্তব্য। আমরা আমাদের ইস্যুগুলো তুলে ধরেছি। আমরা সব জায়গায় বলেছি। এটা একটা প্রসেস।’