স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘অনেক দেশে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা পেয়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ কোটি ডোজ টিকা দিতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ১১ কোটি ৫৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া। এর মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষকে আমরা টিকার আওতায় আনতে পেরেছি।’
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের কাছে এখনও মজুদ আছে ১০ কোটি টিকা। বেশকিছু লোক এখনও টিকা নেয়নি। তাদের মধ্যে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অনীহা দেখা যাচ্ছে। আমরা আহ্বান করব, এখনও যারা টিকা নেননি, তারা যেন দ্রুত টিকা নেন।’
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। সেটা এখনও অব্যাহত আছে। চিকিৎসক- নার্সসহ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। শুধু তারা নিজেরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।‘
জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতকে ডিজিটালাইজ করার লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে চলছে। শিগগিরই এর অনুমোদনও হয়ে যাবে। আমরা প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০টি করে ডায়ালাইসিস বেড ও ১০টি করে আইসিইউ বেড যোগ করছি। জেলা হাসপাতালগুলোতে নতুনভাবে ৬৫০টি করে আইসিইউ বেডের পাশাপাশি সমান সংখ্যক ডায়ালাইসিস বেডও চালু করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনাকালেই আমরা স্বাস্থ্য খাতে ৪০ হাজার লোক নিয়োগ দিয়েছি। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলো আমরা সার্বক্ষণিকভাবে চালু রেখেছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হলেও মেডিক্যাল কলেজ আমরা বন্ধ করিনি। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এক মাসে ১ হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করেছি। এর মধ্যে আছে ২৫০টি আইসিইউ বেড।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বেশ কয়েকটি নতুন সেবা আমরা উদ্বোধন করতে পেরেছি। এ হাসপাতালের ১ হাজার ৩৫০ বেডের মধ্যে ১৫০টি করোনা বেড আছে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমানসহ অনেকে।