লালপুরের চাঞ্চল্যকর গৃহবধু স্মৃতি খাতুন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। স্ত্রীর নির্যাতন সইতে না পেরে পানির সঙ্গে ঘুমের ওষধ মিশিয়ে শ্বাসরোধ করে স্মৃতিকে হত্যা করে তার স্বামী আব্দুল জব্বার।
আব্দুল জব্বার লালপুর উপজেলার মোহরকয়া গ্রামের ইসাহাক প্রামানিক ওরফে ইমরাজ আলীর ছেলে।
গত ২১জুলাই ঈশ্বরদীর পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার ভাদুর বটতলা এলাকা থেকে আব্দুল জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে মাঝেমধ্যেই আব্দুল জব্বারের সংগে স্ত্রী স্মৃতি খাতুনের ঝগড়া বিবাদ হতো। এমনকি স্মৃতি খাতুন প্রায়সময় তাঁর স্বামী আব্দুল জব্বারকে মারপিট ও হুমকি দিয়ে আসছিল। এই ক্রোধ থেকে আব্দুল জব্বার ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ জুলাই স্মৃতি খাতুনকে স্যালাইন পানির সংগে ঘুমের ওষধ মিশিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার করে। এরপর বাড়ির পাশে একটি পুকুরে স্ত্রীর ফেলে দেয়। থানায় মামলা হলে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আব্দুল জব্বার আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।
প্রেস বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক যুবায়ের, মীর আসাদুজ্জামান, ডিবির ওসি আনারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।