রেজাউল ইসলাম: ফিলিপাইন এবং রাশিয়াতে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে সংগ্রামী এবং বলিষ্ট ভূমিকা রাখার কারনে ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক ডিমিট্রি মুরাটভ নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
নোবেল কমিটি উভয় সাংবাদিককে তাদের সাহসী ভূমিকার জন্য সকল সাংবাদিকদের প্রতিনিধি হিসাবে অবিহিত করেন। তারা তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কারনে নিজ নিজ দেশের শাসকদের ক্ষোভের কারন হয়েছেন এবং শাসকদের দ্বারা মারাত্নক হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন। উভয়েই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন যা তাদেরকে নোবেল প্রাইজের জয় এনে দিয়েছে। নিউজ সাইট র্যাপেলের কো-ফাউন্ডার রেসা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নিজ দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার, সন্ত্রাস এবং স্বৈরাচারের উন্থানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন।
নোবেল কমিটি বলেন, স্বাধীন সংবাদপত্র নোভায়া গেজেটার কো-ফাউন্ডার এবং সম্পাদক জনাব মুরাটভ প্রায় এক যুগ ধরে ক্রমবধর্মান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মুন্নত রাখার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে বলেন,স্বাধীন এবং সত্য নির্ভর সাংবাদিকতা ক্ষমতার অপব্যবহার,মিথ্যাচার এবং যুদ্ধের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছে। কমিটি আরো বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে জাতিতে জাতিতে ভ্রাতৃত্ববোধ, নিঃরস্রীকরন এবং কল্যানকামী পৃথিবীকে সফলভাবে এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে যেত।
মুরাটভ তার প্রাপ্ত নোবেল প্রাইজ নোভায়া গেজেটার রিপোর্টারকে উৎসর্গ করেন যাকে তার কর্মের জন্য হত্যা করা হয়। নোবেল প্রাইজটি আসে যখন আন্না পলিটকোভাসকায়ার ১৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হচ্ছিল। পলিটকোভাসকায়ার ছিলেন শীর্ষস্থানীয় অনুসন্ধানী রিপোর্টার এবং রাশিয়ার চেচিয়ার যুদ্ধে সবচেয়ে উচ্চকন্ঠের সমালোচক, যাকে তার ফ্ল্যাটের লিফটে গুলি করে হত্যা করা হয়। মুরাটভ রাশিয়ার নিউজ এজেন্সিকে বলেন, “আমি এই কৃতিত্ব নিতে পারি না। আমি ধন্যবাদ জানাই নোভায়া গেজেটা এবং যারা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রান দিয়েছেন।”