শিগগিরই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এমন কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন- ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বাংলাদেশের কথা শুনছে, নিয়মিত বৈঠক করছে। এমনকি বাংলাদেশের আইন মেনে ভ্যাট-ট্যাক্সও দিচ্ছে তারা। সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন ফেসবুকসহ এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশে ফেসবুকের প্রায় ৪ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। ইউটিউবের হয়তো এত নেই। বাংলাদেশ জন্মের শুরু থেকেই কিছু লোক বিরোধিতা করেছে, এখনো করছে। দেশের ভেতরে যেমন রয়েছে, তেমনি বিদেশেও। তারা কখনো নীরব ছিল না। তারা পরিকল্পিতভাবে সরকার ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের এবং সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িকতার বিষয়ে ইচ্ছামতো প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে।
দেশে এ ধরনের কাজ করলে সহজেই চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারি। কিন্তু যারা বিদেশে বসে এসব করছে তাদের ধরা-ই বড় চ্যালেঞ্জ। আবার এসব ব্যক্তির অ্যাকাউন্টও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুয়া হয়ে থাকে। ফলে তাদের শনাক্ত করাও কঠিন। তারা ইচ্ছামতো নাম দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে এসব প্রচারণা চালাচ্ছে। ফলে এটি শনাক্ত করাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও আইসিটি ডিভিশন, বিটিআরসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ফাইভ-জি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে আমাদের জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো।
শিল্পোন্নত দেশগুলো ফাইল-জি, নতুন প্রযুক্তি বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যেভাবে বাস্তবায়ন করবে, আমরা তা হুবহু নকল করবো না। আমরা আমাদের মতো করে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করবো।