সম্পর্ক ডেস্ক:- করোনা অবরুদ্ধ সময়ে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টাতে গুরুত্ব দিয়ে শিশুদের মননচর্চায় ব্যস্ত রাখা ও উদ্ধুদ্ধ করার লক্ষ্যে খেলাঘর কানাডা’র উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিক তিনটি কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছেঃ
- দেশের ও খেলাঘরের গান শিখিঃ অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের শিশুদের জন্য দেশাত্মবোধক ও খেলাঘরের গান শেখানো কর্মসূচী- পরিচালনায় থাকছেন সুমন সাইয়েদ।
- বাংলা আবৃত্তি শিখিঃ অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের শিশুদের জন্য বাংলা ভাষার কবিতা ও ছড়া আবৃত্তির প্রশিক্ষণ। এটি পরিচালনা করবেন হোসনে আরা জেমী।
- রাইমস এন্ড স্টোরি টাইমঃ অনূর্ধ্ব ৮ বছরের শিশুদের জন্য অংশগ্রহণমূলক ছড়া ও গল্প বলা কর্মসূচী। পরিচালনায় থাকবেন নাজনীন আকবর হক। মূলতঃ ইংরেজী ছড়া ও গল্পবলার ভেতর দিয়ে শিশুদের কিছুটা ব্যস্ত রাখার জন্য এই কর্মসূচী।
খেলাঘরের সংগঠকেরা জানিয়েছেন, এসব কর্মসূচীগুলোতে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিটি শিশুর জন্য আলাদা আলাদা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অনেকটা ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ-এর আদলে প্রতিটি বিষয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। একই শিশু একাধিক বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। বাংলা বা ইংরেজী যে কোন ভাষায় আগামী ২ মে পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য খেলাঘর কানাডা’র ফেসবুক গ্রুপে অনলাইন লিঙ্ক দেয়া হয়েছে। তাছাড়া যেকোন তথ্যের জন্য শাপলা শালুক (647 989 2537), জামিল বিন খলিল (647 701 0353), ফরিদা হক (647 700 5723) বা খেলাঘর সংশ্লিষ্ট যে কারও সাথে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছেন- ‘জুম’- অ্যাপের মাধ্যমে এই কর্মসূচীগুলো পরিচালনা করা হবে এবং কোন কোন সেশন সরাসরি ফেসবুক লাইভে সম্প্রচার করা হতে পারে। সেইসাথে খেলাঘর কানাডা অনিয়মিতভাবে শিশুদের গান-কবিতা-গল্পবলা ও অন্যান্য পরিবেশনা নিয়ে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে কিছু কিছু আয়োজন হাতে নিতে যাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে শীঘ্রই ফেসবুক খেলাঘর গ্রুপে বিস্তারিত জানানো হবে।
খেলাঘর কানাডা’র সংগঠকেরা বলেন- “কানাডায় বাংলাদেশী শিশুদের মানবিক আর মানসিক বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে খেলাঘর কানাডা’র পথচলা শুরু। আমাদের বয়স মাত্র অল্প কয়েক মাস। প্রাথমিক সাংগঠনিক কাঠামোটা কিছুটা গুছিয়ে এনে বরফপড়া শীতের শেষভাগে আর পুরো সামার জুড়ে শিশুদের জন্য ব্যাপক কর্মযজ্ঞের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমরা। আর তখনই এই অসুন্দর করোনার অনাহূত আক্রমণ। হঠাৎ করেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে নতুন রূপে গুছিয়ে আনতে, পরিকল্পনা করতে কিছুটা সময় লেগেছে আমাদের। তবে আমরা আমাদের শিশুদের পাশে আছি এবং এই করোনা-সময়ে নানা ধরণের কর্মসূচীর ভেতর দিয়ে আমরা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টাতে গুরুত্ব দিয়ে তাদেরকে ব্যস্ত রাখার জন্য ধারাবাহিক নানা কর্মসূচী গ্রহণ করবো।”
উপরোক্ত কর্মসূচীগুলোর তথ্য পরিচিত শিশুদের ও তাদের অভিভাবকদের অবহিত করার জন্য সকলের প্রতি খেলাঘর কানাডা’র পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং সকলের সহযোগিতায় খেলাঘর কানাডা’র এই উদ্যোগ শিশুদের মননচর্চায় কিছুটা হলেও সহায়তা করছে প্রতীয়মান হলে খেলাঘর কানাডা এধরণের কর্মসূচীর পরিসর ও পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।