ডাঃতাবাস্সুম উর্মি রোজা, কনসালট্যান্ট সাইকিয়াট্রিস্ট, কগনিসিটি ওয়েলবিং , লন্ডন
একজন শিশুর জীবনে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখে তার বাবা-মা। কিন্তু সব বাবা-মা কি পারেন এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাটি যথাযথভাবে পালন করতে?
এই কথাটির কোনো ভিত্তি নেই জানি। কারণ পৃথিবীর সব বাবা-মাই তার সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন। কিন্তু সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি সেই সঙ্গে দায়িত্ববোধ পালনের সঠিক পথ কোনটি, তা অনেকেই জানেন না। আর ভুল পথ অবলম্বনে সন্তানের কল্যাণের বদলে তার সঠিক মানবিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যার ফলে শিশুটি বিপথে চলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই শিশুর সুস্থ বিকাশের স্বার্থে বাবা-মাকে সতর্কতার সঙ্গে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
জেনে নিন করণীয়-
সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিন। আপনি যদি কর্মজীবী হন, তাহলে দিনের একটা সময় বের করে নিজের সন্তানের সঙ্গে কাটান। আপনার এই আদরের সন্তানের জন্য খানিকটা সময় বের করে নিতে নিশ্চয়ই আপনার কোনো আপত্তি থাকবে না।
আপনার শিশুটি কি বলতে চায় তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। বাচ্চা বলে এড়িয়ে যাবেন না, এতে সে হতাশ হয়ে পড়বে। তার কথাকে গুরুত্ব দিন। ভুল কিছু বললে সমালোচনা না করে বুঝিয়ে বলুন কোনটা সঠিক। এতে সে বিপথগামী হবে না।
সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এবং আপনাদের জীবনে তার গুরুত্ব কতটুকু তা প্রকাশ করুন। এতে সে খারাপ কোনো কাজের আগে আপনাদের কথা ভেবে তা থেকে বিরত থাকবে। শিশু অবস্থা থেকে তাকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলুন এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম করে তুলুন। এতে সে অল্পতে হতাশ হয়ে পড়বে না।
কখনো সন্তানকে ছোট ভেবে তাচ্ছিল্য করে কিছু বলবেন না, এতে সে হতাশ, বিষন্ন হয়ে পড়বে এবং হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করবে, যা তার সুস্থ বিকাশে বাঁধা তৈরি করবে।
সন্তানের ভালো কাজের প্রশংসা করুন, এতে কাজের প্রতি তার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং সে উৎসাহ পাবে। আর মন্দ কাজের জন্য দোষারোপ বা গালমন্দ না করে সময় দিয়ে বুঝিয়ে বলুন।