পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার সমান করার বিষয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় এ সমঝোতা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বিতীয় সভায় শুল্ক হার বিষয়ে সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় আট সদস্যের অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সভায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাস্টমস বিভাগের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও বাণিজ্য সহজীকরণের জন্য সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতায় কাস্টমসের বিষয়গুলো নিয়ে চুক্তি করতে কর্মকর্তারা আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সভায় অস্ট্রেলিয়ার সামনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়ে অবস্থান তুলে ধরা হয়। চীন আরেক জোটের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করা খুব সহজ হবে না। তাই, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারঞ্জমেন্টের (টিফা) আওতায় বড় কোনো চুক্তি হবে না।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ান ডেলিগেশন টিমকে আমাদের এখান থেকে বেশি করে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করার আহ্বান জানিয়েছি। কারণ, অস্ট্রেলিয়া চীন আর ভারত থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য কিনে থাকে। ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশি অনেক পণ্যের তুলনামূলক বেশি সুবিধা আছে। সেসব রপ্তানি পণ্যের মধ্যে আছে গার্মেন্টস। আশা করি, অস্ট্রেলিয়া আমাদের থেকে গার্মেন্টস পণ্য নেবে। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থায় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভালো আমদানি গন্তব্য হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে উল বিক্রির আগ্রহ দেখিয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার এলএনজি আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারাও এ ব্যাপারে সাড়া দিয়েছে।
দুই দেশের কাস্টমস বিভাগের সহযোগিতার মধ্যে আছে—তথ্য আদান-প্রদান, চোরাচালান প্রতিরোধে সহযোগিতা, আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য তথ্য, কাস্টমস প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রভৃতি।