জসিম মল্লিক
লেখক পরিচিতিঃজন্ম বরিশাল শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। কলেজ জীবন থেকেই তাঁর লেখালেখির শুরু এবং দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক-এ নিয়মিত লিখছেন। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সাপ্তাহিক বিচিত্রায় কাজের মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিকতার শুরু। দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছরের সাংবাদিকতা ও লেখালেখির অভিজ্ঞতা।এ পর্যন্ত তার প্রায় পঁয়ত্রিশটির মতো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
১
এখন আর আগের মতো পত্রিকায় লেখা হয় না আমার। দেশের দৈনিক পত্রিকায় তো আরো না। মাঝে মাঝে অনুরোধে অনলাইন পোর্টাল বা প্রবাসের পত্রিকাগুলোতে লিখি। লেখালেখির ক্ষেত্রে আমার ধরাবাধা কোনো নিয়ম নেই। যখন লিখতে ভাললাগে তখন লিখি, যখন যেখানে লেখা দিতে ইচ্ছে করে দেই। যখন সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না তখন অনেক লিখেছি পত্রিকায়। পত্রিকা ছাড়া লেখালেখির আর কোনো মাধ্যমও ছিল না। চিঠিপত্র দিয়ে পত্রিকায় লেখা শুরু আমার। তখন কলেজে ভর্তি হয়েছি মাত্র। একসময় এমনও মনে হতো চিঠিপত্র পর্যন্তই কি লেখালেখির দৌড় আমার! তখন যা লিখতাম সেটাই পত্রিকায় ছাপা হতো। সেটাও একটা বিস্ময় ছিল আমার জন্য! আমি থাকি বরিশাল, কেউ আমাকে চেনে না, নাম জানে না, পত্রিকার লোকদের আমি চিনি না। কোনো যোগাযোগ নাই কারো সাথে। শুধু ঠিকানা জানি এই পর্যন্ত।
লেখালেখি আমাকে কেউ শেখায়নি। আমাদের পরিবারে লেখালেখির কোনো পরিবেশও ছিলনা। শহরতলির এক মায়াময় আর মনোরম পরিবেশে আমি বেড়ে উঠছি। ছায়া সুনিবিড়, সবুজে ঘেরা বাড়ি আমাদের। মল্লিক বাড়ি বললে যে কেউ চেনে। যে কোনো রিক্সাওয়ালা একটানে নিয়ে আসে আমাদের বাড়িতে। আমি সাইকেল চালিয়ে বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরী যাই, সেখান থেকে বই এনে পড়ি। আর সিনেমা মুক্তি পেলে সিনেমা দেখি। স্কুল পালিয়েও সিনেমা দেখতাম। আমার কাছে প্রচুর চিঠি আসত তখন থেকেই। আমার অনেক পেনফ্রেন্ড ছিল। আমি যে পত্রিকায় চিঠিপত্র লিখতাম সেখানে চিঠির শেষে লিখতাম, জসিম মল্লিক, মল্লিক বাড়ি, সাগরদি, বরিশাল। এই ঠিকানায়ই চিঠি চলে আসত। শুধু জসিম মল্লিক, মল্লিক বাড়ি, বরিশাল দিলেও চিঠি আসত। বিচিত্রার ব্যাক্তিগত বিজ্ঞাপনে শুধু আমার নাম আর বরিশাল লেখা থাকত তাতেই চিঠি চলে আসত। বিচিত্রার ব্যাক্তিগত বিজ্ঞাপনই হচ্ছে আজকের যুগের চ্যাটবক্স। একটা সামান্য দুলাইনের বিজ্ঞাপনেই গন্ডায় গন্ডায় চিঠি চলে আসত।
ঠিক দুপুরের দিকে আমার একটা প্রতীক্ষা থাকত। অধীর আগ্রহ নিয়ে পথের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। ডাকপিয়নের অপেক্ষায়। আমাদের বিশাল বড় বাড়ি। বাড়ির পাশ দিয়েই বয়ে গেছে খাল, সেই খাল কীর্তনখোলা নদীতে গিয়ে মিশেছে এবং খাল ঘেষে পাকা রাস্তা চলে গেছে দরগাবাড়ি ছাড়িয়ে টিয়াখালি পর্যন্ত। সিএন্ডবি রোড থেকে মল্লিক বাড়ির পুল পার হলেই আমাদের সীমানা। যে কেউ ’মল্লিক বাড়ির পুল’ নামেই চিনত আমাদের। তখন খুব ভরভরন্ত খাল ছিল। এই পুলের উপর দিয়ে আমরা পানিতে ঝাপঝাপি করতাম। আমি খুব ভাল সাঁতার কাটতে পারতাম। আমার সাথে কেউই প্রায় পেরে উঠত না। একবার প্রয়াত সাংবাদিক মিনার মাহমুদ গেলো বরিশালে আমাদের বাড়িতে। এক ঈদে। মনে আছে গুলিস্তান থেকে চল্লিশ টাকায় দুটো শার্ট কিনেছিলেন মিনার ভাই। ঈদের দিন দুজনে পড়ব তাই।
একদিন মিনার ভাই বললেন, চলো জসিম সাঁতার প্রতিযোগিতা হোক।
আমাদের বাড়িতেই ছিল বিশাল পুকুর। দু’জনে নেমে পড়লাম পানিতে। কম্পিটিশন।
মিনার ভাইকে বললাম, পারবেন না আমার সাথে।
মিনার ভাই তার স্বভাবসুলভ হো হো হো হাসি দিয়ে বললেন, ম্যান আমি পদ্মার পাড়ের ছেলে।
সত্যি কথা বলতে কি আমি সেদিন মিনার ভাইকে হারিয়ে দিয়েছিলাম সাঁতার প্রতিযোগিতায়।
মূল রাস্তা থেকে লম্বা একটা সরু রাস্তা ধরে আমাদের বাড়িতে ঢুকতে হয়। সেই রাস্তার পাশেই খেলার মাঠ, ক্লাব, পুকুর, কবরস্থান, নানা জাতের গাছ গাছালি আর পাখির ডাক। দূর থেকেই আমি দেখতাম ডাকপিয়ন চাচা তার পুরনো বাই সাইকেলে ঘন্টি বাজিয়ে আসছেন। অজান্তেই বুকের মধ্যে ধ্বক করে উঠত! চিঠি পাবার আনন্দে। পোষ্ট মাস্টার আমাকে দেখে যেদিন হাসতেন আমি বুঝতাম আমার নামে চিঠি এসেছে। যেদিন কিছু বলতেন না সেদিন আমার মন খারাপ লাগত। তবে বেশিরভাগ দিনই চিঠি আসত আমার কাছে। আমার পত্রবন্ধুরা লিখত। লিখত নতুন নতুন বন্ধুরা। তার মধ্যে মেয়েদের চিঠিই বেশি থাকত। এমনও হয়েছে এক দিনে বিশ পঁচিশটা চিঠি এসেছে। সেই চিঠি পরম যত্নে পড়তাম এবং তারচেয়েও যত্ন সহকারে উত্তর দিতাম। এতো চিঠি পেতাম এবং লিখতাম যে পয়সার অভাবে খাম কিনতে পরতাম না, তাই পোষ্টকার্ড ব্যবহার করতাম। পোষ্টকার্ড হচ্ছে ওপেন কনসেপ্ট। মাঝে মাঝে আমার কাছে যে চিঠি আসত সেগুলোর স্টাম্প খুলে আবার আমার চিঠিতে লাগিয়ে দিতাম। ততদিনে আমাদের এলাকায় একটা সাব পোষ্টাফিস বসেছে। বৃদ্ধ পোষ্ট মাষ্টার চাচা আমাকে খুবই আদর করতেন। তিনি সীল মেরে দিতেন চিঠিতে।
২
ঢাকায় আসার পরও লেখালেখির নেশাটা রয়ে যায় আমার। ঢাকায় এসেছিলামও পড়াশুনার পাশাপাশি বড় বড় লেখকদের কাছ থেকে দেখতে পাব, লিখব এই আশায়। আমি লেখা ছাপানোর জন্য কখনো কোনো পত্রিকা অফিসে যাইনি। কোনো সাহিত্য সম্পাদকের সাথে লেখা ছাপানোর জন্য খাতির করিনি বা বলিনি, ভাই আমার লেখাটা ছাইপেন। আমি আসলে তাদের চিনতামই না। যখন থেকে চিনেছি তখনও কাউকে কোনোদিন বলিনি। ওসব আমি পারি না। এখন আমাদের সাহিত্য অঙ্গন অনেক গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত। আমার কোনো গ্রুপ নাই। আমি পত্রিকায় লেখা পাঠাতাম বাই মেইল, ছাপা হলে হবে না হলে নাই। আসলে আমি ছিলাম লাজুক টাইপ, এখনও তাই। লেখালেখি নিয়ে অন্যদের মতো আমার কোনো হৈ চৈ নাই। অবাক কান্ড তদবির ছাড়াই আমার অনেক লেখা দেশের খ্যাতনামা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। প্রথম গল্প ছাপা হয়েছিল তৎকালীন দৈনিকবাংলার সাহিত্য পাতায়। খ্যাতনামা প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশিত হয়েছে। বরিশাল থেকে একদিন লাজুক ও ভীরু পায়ে ঢাকায় পা রেখেছিলাম। এখন এতোগুলো বছর পার করে এসেও সেই লাজুকতা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। জীবনের সব ক্ষেত্রে কিছু মানুষ আমাকে ভালবাসে বলেই আমি টিকে থাকি।
আমি খুবই সাদামাটা টাইপ মানুষ। শুধু সাদামাটা না অতি সাদামাটা। আমার কোনো পান্ডিত্য নাই। নিভৃত জীবন যাপন আমার। কোলাহল থেকে দূরের একজন। নিজেকে আমার তেমন পছন্দ হয় না। এর কারন আমার সীমাহীন অযোগ্যতা। তাইতো নিজেই নিজের কাছে অসহ্য হয়ে উঠি। নিজের কর্মকান্ডে নিজেই অখুশী। এমন সব মোটা দাগের ভুল করি, বোকামী করি যে কারনে আমাকে পস্তাতে হয় এবং একই ভুল বার বার করি। অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করি। অন্যেরা যা পারে আমি তা পারি না। মনে হয় আমি যা করি কিছুই হয় না। সারা জীবন ভুলভাল পথে চলেছি, ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যা করার কথা ছিল তা করিনি। সবসময় মনে করি আমার বুদ্ধি সুদ্ধি অনেক কম। আমি কোনো মেধাবীও না। পৃথিবীর সবাই আমার চেয়ে বুদ্ধিমান। এতো কম বুদ্ধি নিয়ে আমি কেমন করে বেঁচে আছি! কেমন করে এতোদূর পথ পারি দিলাম! আমি কখনো সাফল্য লাভের চেষ্টা করিনি। সাফল্যের সঙ্গা সবসময় গোলমেলে আমার কাছে। মানুষ সব সময় সাফল্য লাভের পিছনে দৌড়ায়। আমার জীবনে ওরকম কোনো দৌড়ঝাপ নাই, কোনো প্রতিযোগিতা নাই।
আমি এমনি এমনি বেড়ে ওঠা একজন মানুষ। কিছুটা অবহেলিত, কিছুটা দৃষ্টির আড়ালে বেড়ে ওঠা ছিল আমার। কৈশোর থেকেই যখন যেটা মনে হয়েছে করেছি। কোনো প্লান করে কিছু করি নি। একধরণের অর্থহীন জেদ মাথার মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকে আমার। সেই জেদ আমাকে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত করেছে। তারপরও মনে হয় অনেক কিছুই ঘটেছে জীবনে। অনেক প্রাপ্তি ঘটেছে। অনেক কিছু দেখা হয়েছে। অনেক স্বপ্নের মানুষকে কাছ থেকে দেখেছি, অনেক স্বপ্নের দেশে গিয়েছি, যা ছিল অকল্পনীয় আমার কাছে। অচিন্তনীয় ব্যাপারগুলো ঘটেছে আমার জীবনে সবসময়। এতো কিছু ঘটার কথা ছিল না, এতো কিছু প্রাপ্তিলাভের কথা ছিল না। তাই নিজেকে আমার আকস্মিকতার সন্তান মনে হয় সবসময়।
৩
এই যেমন আমি লিখি, জানি এসবের কোনো মূল্য নাই তেমন তাও লিখি। লিখতে ভাল লাগে তাই লিখি। লিখে আনন্দ পাই তাই লিখি। কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে লিখি না। লিখে অনেক কিছু বদলে যাবে তাও আমার মনে হয় না। বদলে দেওয়ার কোনো যোগ্যতা আমার নাই। অধ্যবসায়ও নাই দারুণ কিছু করে দেখানোর। লেখালেখি না করে অন্য কিছুও করতে পারতাম। সেটাই ছিল স্বাভাবিক। এই যে এতো বই পড়ছি, পড়ার পিছনে সময় ব্যয় করছি, এসব না করে অন্য কিছু করতে পারতাম। কত মানুষই তো বই পড়ে না, লেখে না তাতে এমন কিছু ক্ষতি হয়নি। আমার স্ত্রী জেসমিন কখনো লেখেনি, গল্পের বই পড়েনি তেমন, আমার মাও তাই। মা লেখাপড়াই জানতেন না। অথচ এই দু’জনই আমার জীবনের অংশ। মা ছিল আমার আদর্শ। তারা যে এসব করেনি তাতে কি তারা অসুখী হয়েছে!
জেসমিনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচয় হওয়ার পর একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করল, তুমি নাকি লেখো! কি লেখো তুমি! এর অর্থ হচ্ছে জেসমিন আমার লেখা পড়ে আমার প্রতি আকৃষ্ট হয়নি বা লেখালেখির সূত্রে আমাদের পরিচয় হয় নি। আমি মনে করেছিলাম জেসমিন বোধহয় আমার নাম জানে। কিন্তু আমার ধারনা ছিল ভুল। আমার মাও একদিন জিজ্ঞেস করলেন ,তুমি না কি লেখো! কি লেখো তুমি! কি আশ্চর্য্য দুজনেরই প্রশ্ন ছিল একই। মা অবশ্য জানেন আমি লিখি। কিন্তু মা ভুলে যান। কারণ তখন মা অনেক অসুস্থ্য, তাই মনে রাখতে পারত না কিছু। আমাদের পরিবারের অনেকেই জানে আমি লিখি, কিন্তু কি লিখি তা জানে না। কখনো হয়ত পড়েওনি। কিছু মানুষ আবার পড়ে। সেই সংখ্যাটাও নেহায়েত কম না।
কোনো বিশেষ মানুষ না হয়েও, অতি সাধারন একজন হয়েও মানুষের ভালবাসা যে পাওয়া যায় তার প্রমান আমি। কৈশোরকাল থেকেই আমি মানুষের ভালবাসা পেয়েছি, আনুকল্য পেয়েছি। ভালবাসা পেয়েছি মায়ের, স্ত্রী-সন্তানের, ভাই বোনের, আত্মীয় আর বন্ধুদের। এমনকি স্বল্প পরিচিতরাও আমাকে ভালবাসা দেখিয়েছে। পথ চলতে চলতে ভালবাসা পেয়েছি। পথের পরিচয় পথেই শেষ হয়েছে কিন্তু ভালবাসার পরশ রয়ে গেছে। আর সেটাই আমার বেঁচে থাকার প্রেরনা। না হলে আমি হারিয়ে যেতাম, ভেসে যেতাম অনেক আগেই। মানুষের অবহেলা বা ঘৃণা যতটুকু পেয়েছি ভালবাসার কাছে তা তুচ্ছ। মানুষের ভালবাসার রয়েছে অসীম ক্ষমতা। যখন যেখানে গিয়েছি, যে কোনো পরিস্থিতিতেই আমি কারো না কারো আনুকল্য পেয়েছি। এটা একটা অলৌকিক ব্যাপার আমার জীবনে। এখনও, আজও এই ভালবাসার সুবাসটুকু রয়ে গেছে। আর এটাই আমাকে বেঁচে থাকার প্রেরণা দেয়। না হলে আমি মাঝে মাঝে ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাই। হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু মানুষের ভালবাসা আবার আমাকে ফিরিয়ে আনে।
আমার বেড়ে ওঠা, শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য, নিজেকে চেনা, জীবন সংগ্রাম, লড়াই, দুঃখ, দারিদ্র, প্রেম ভালবাসা, সংসার, সন্তান, লেখালেখি সবকিছুর সাথে জড়িয়ে আছে কিছু মানুষ। কিছু মানুষ বিনা শর্তে অকুন্ঠ ভালবাসা দিয়েছে সারা জীবন। যেখানেই গিয়েছি সেখানেই তার পরশ পেয়েছি। এটা একটা অভুতপূর্ব ব্যাপার। তাইতো কখনো কখনো বেঁচে থাকাকে অর্থহীন মনে হয় না। মনে হয় বেঁচে থাকা আনন্দের।
মারুফুল ইসলামের কবিতা দিয়ে শেষ করি,
” জানি, জীবনের ভুলগুলো একে একে ঝরে ঝরে
ফুটে ওঠে স্বপ্নের সম্পন্ন ফুল
তবু ব্যর্থতার কনিষ্ঠ আঙুল ছুঁয়ে
আমি শুধু বারংবার হেঁটে গেছি সদর রাস্তায়
সাহসের কাঙ্খিত ইশারা কোনোদিন
আমাকে নেয় নি ডেকে অনন্ত প্রান্তরে”
টরন্টো ২০ মে ২০২০
Hi, Jashim Mallik, I knew you from my teenage. I was the biggest fan of Bichitra. Always love to read. As I know you by ‘Bektigoto biggapon’ I can remember Jhinuk Chowdhury as well. Your writing is very simple and nice. All our childhood memories are as similar as mine. I had pen friendship with Jhinuk Chowdhury. Now you are living in Toronto. Hope, one day I will meet with you.