বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তার সময়কালে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব চলমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান পলা মে উইকস। একই সঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারলে খুব খুশি হবো।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান পোর্ট অব স্পেনে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান পলা মে উইকসের কাছে সেদেশে বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার হিসেবে তার পরিচয়পত্র পেশ করতে যান। তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে তিনি উল্লেখ করে, দুদেশের মধ্যকার বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার নিয়মিত পরামর্শ সভা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পলা মে উইকস আশা প্রকাশ করেন, পররাষ্ট্র ও কারিকম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পোর্ট অব স্পেনে তার পরবর্তী সফরের সময় অথবা ভার্চ্যুয়ালি এ স্মারকটি চূড়ান্ত হতে পারে। ২০০৯ সালে কমনওয়েলথ সম্মেলন সেদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি সফরেরও স্মৃতিচারণ করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান।
হাইকমিশনার ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতিকে অদূর ভবিষ্যতে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি তা সাদরে গ্রহণ করেন এবং জানান যে অদূর ভবিষ্যতে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে এ সফরের আয়োজন করা যেতে পারে।
হাইকমিশনার ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি সিনেটর পাওলা গোপী-স্কনের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন এবং দুদেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য শক্তিশালীকরণ বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরে সম্মত হন। তিনি বাংলাদেশ থেকে একটি খসড়া সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খসড়ার জন্য অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন একটি খসড়া সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) তৈরি করছে, যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
হাইকমিশনার তাছাড়াও ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কিছু আমদানিকারকের সঙ্গে বিশেষ করে যারা বাংলাদেশ থেকে আরএমজি এবং চামড়া ও ঔষধজাত পণ্য আমদানি করছে তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
তারা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং কীভাবে তা সহজ করা যায় হাইকমিশনারকে তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন।
হাইকমিশনার ত্রিনিদাদ ও টোবাগো বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি বিশেষ করে রাজধানী পোর্ট অব স্পেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মিলিত হন এবং তাদের কথা শোনেন কীভাবে তাদের কন্স্যুলার সেবা সহজভাবে দেওয়া করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেন।