আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে শিক্ষকদের সব দাবি পূরণ হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর রামনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘আগস্ট ট্র্যাজেডি: বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শনের বিচ্যুতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। শিক্ষায় যা কিছু উন্নয়ন শেখ হাসিনার হাত ধরে হয়েছে, যতটুকু পথ হাঁটার কথা শেখ হাসিনার হাত ধরেই হাঁটতে হবে। আপনারা ধৈর্য ধরে আছেন আশায় আছেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে এলে আপনাদের যত দাবি আছে, যত দ্রুত সম্ভব সব পূরণ হবে ইনশা আল্লাহ।
ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। আজ শিক্ষকরা যে অবস্থায় আছেন, যেতে হবে অনেক দূর। শিক্ষাব্যবস্থাটা আমরা যেভাবে চাই, তার মূল কেন্দ্রে শিক্ষক। কাজেই শিক্ষক যদি মানসম্মন্ন না হন, শিক্ষকের মনে যদি প্রশান্তি না থাকে, তিনি যদি মন খুলে তার শিক্ষার্থীকে শেখাতে না পারেন, তাহলে আমরা যত কারিকুলামই করি, সেখানে ঘাটতি থেকে যাবে। কাজেই শিক্ষকের জায়গাটা জরুরি, প্রধানমন্ত্রী সেটা ভালো করেই বোঝেন। সে জন্য আজ পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে। তাহলে আপনারা তো আস্থা রাখতে পারেন, আমাদের যতদূর পথ হাঁটার কথা শেখ হাসিনার হাত ধরেই হাঁটতে হবে।
শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক কিছু চাওয়ার আছে। শিক্ষকদের অনেক কিছু চাওয়ার আছে, এগুলো যৌক্তিক। সেই যৌক্তিক চাওয়াগুলো আমরা নিশ্চয় পূরণ করবো। কিন্তু সেটার জন্য এই মুহূর্ত সঠিক সময় নয়। আমি মাঝেমধ্যে জোক করে বলি এখন নির্বাচনের সময়, আন্দোলনের মৌসুম। সেই মৌসুম ভেবে কেউ কেউ রাস্তায় নেমে যান, আবার একটু উসকানিও থাকে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশা আল্লাহ। তারপর আমাদের চাওয়া যা কিছু আছে, সব পূরণ হবে ইনশা আল্লাহ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা সরকারিতে আছেন, তাদের এক রকম দাবি; যারা এমপিওতে আছেন, তাদের এক রকম দাবি। যারা নন-এমপিও, তাদের একরকম। পুরো জিনিসটা বুঝে গুছিয়ে, জটিলতাগুলোকে দূর করে তারপর করতে হবে। হ-য-ব-র-ল নিয়ে পারবেন? আমরা দুটি কমিটি করে দিয়েছি, দুদিনের একটি ওয়ার্কশপ করলাম। সবাইকে ডাকলাম। কিন্তু আমাদের নামে কদর্য কথা বলছেন, কুৎসা রাটাচ্ছেন। তাদেরও বললাম আসেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মেইন লোক (ওয়ার্কশপে) ছিলেন না। তাদের সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সরকার তাদের ডেকে নিয়ে আসছে, সেখানেও তারা আসতে রাজি নন। তখন বিএনপি-জামায়াতের একটা সমাবেশ ছিল। তারা সেই সমাবেশে থাকবেন। তাদের নিয়ে নাচানাচি তো দরকার নেই।
তিনি বলেন, শিক্ষর্থীদের জিম্মি করে তারা দাবি আদায়ের মৌসুম মনে করে, বিরোধী দলের তথাকথিত আন্দোলনের পালে হাওয়া লাগানোর জন্য তারা রাস্তায় বসবে, সেটাকে প্রশ্রয় দেওয়ার কোনও কারণ নেই।