শ্রম অধিকার ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান। আইএলও-বাংলাদেশ সরকার পথ চলার ৫০ বছর পূর্তিতে এ আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইএলও।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন বলেন, আইএলও দীর্ঘদিন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তারা নিশ্চয়ই কাজে লাগাতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকের যেকোনও ইস্যুতে লেবার মিনিস্ট্রিকে যুক্ত করে আপনাদের কাজ করা উচিত। একইভাবে স্থানীয় বাস্তবতা অনুযায়ী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে। শ্রম অধিকার ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করার জন্য আইএলও’র প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারের বিশেষ অতিথি আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির বলেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমরা সব প্রকার শ্রম অধিকার বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমখাত দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের শ্রমখাতে ৮৫ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে সম্পৃক্ত। এ খাতের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান মইনুল কবির।
বিশেষ অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসান-ই-ইলাহী বলেন, বাংলাদেশ আইএলও’র ৩৬টি কনভেনশন রেটিফাই করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে ৮টি কনভেনশন রেটিফাই করেছে। শ্রম অধিকার নিশ্চিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
তিনি বলেন, আমরা শ্রম আইন সংশোধন করেছি। বেশ কয়েকটি কমিটির পরামর্শ নিয়ে শ্রম আইন সংশোধন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শ্রম আইন তৈরির চেষ্টা করছে।
সেমিনারে বক্তব্য দেন আইএলও’র সহকারী পরিচালক ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সহকারী মহাপরিচালক শিহোকো আসাদা মিয়াকাওয়া।
এতে আরও বক্তব্য দেন- পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির, শ্রমিক শিক্ষা বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় কমিটির চেয়ারপারসন শামীম আরা, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পটিআইনেন।